ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্য পরিবেশে দেশি ময়ূর দেখা যায় না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
  • ৩৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতি সুদর্শন এক প্রজাতির পাখি ‘দেশি ময়ূর’। স্ত্রী পাখি ‘ময়ূরী’ নামে পরিচিত। পুরুষ পাখি দেখতে ভীষণ সুন্দর হলেও কণ্ঠস্বর কর্কশ। সাধারণত এরা পাতাঝরা বনে বা বনতলে ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে। মোরগ-মুরগির মতো মাটি আঁচড়ে খাবার সংগ্রহ করে। প্রজনন মৌসুমে পরুষ পাখি পেখম উঁচিয়ে নাড়তে থাকে। যা ‘ময়ূর নৃত্য’ নামে পরিচিত। ময়ূর আমাদের দেশের স্থায়ী বাসিন্দা কিনা তা আজ অব্দি জানা যায়নি। এ নিয়ে রয়েছে খানিকটা বিতর্কও।

দেশের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও পাখি গবেষকদের মতে, ‘ঢাকা বিভাগের পাতাঝরা বনে দেশি ময়ূর দেখা যাওয়ার নজির রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পরেও নাকি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের বন্য পরিবেশে এ প্রজাতির সাক্ষাৎ মিলেছে। ভারতে রয়েছে এদের ব্যাপক বিস্তৃতি, সেখান থেকে এতদাঞ্চলে উড়ে আসা বৈচিত্র্যের কিছু নয়। দেশি ময়ূর বিশ্বে বিপদমুক্ত হলেও বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে প্রজাতিটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে সংরক্ষিত রয়েছে।

পাখির বাংলা নাম: ‘দেশি ময়ূর’, ইংরেজি নাম: ‘ইন্ডিয়ান পিফাউল’, (Indian Peafowl), বৈজ্ঞানিক নাম: Pavo cristatus। প্রজাতির পুরুষ পাখি লম্বায় পেখম ছাড়া ১০০-১১৫ সেন্টিমিটার। পেখমসহ ১৯৫-২২৫ সেন্টিমিটার। ওজন প্রায় ৪-৬ কেজি। অপরদিকে স্ত্রী পাখি লম্বায় ৯০-১০০ সেন্টিমিটার। শুধু আকারেই নয়, স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ও ওজন ভিন্ন। এদের মাথা, ঘাড় ও গলা উজ্জ্বল নীল। মাথার ঝুঁটি উপরের দিকে ছড়ানো। পিঠ ও কোমর ধাতব সবুজ। ডানার ওপর নীলাভ মিহি সাদা-কালো রেখা। ডানার প্রান্ত বাদামি। লেজের ওপর লম্বা পালক, যা ‘পেখম’ নামে পরিচিত।

পেখমের পালক উজ্জ্বল নীল, পেখমের পালকে চোখ আকৃতির চক্র থাকে, নীলাভ-তামাটে বর্ণের। স্ত্রী পাখির মুখ ও গলা সাদা। ঘাড় সবুজ, নিচের দিকটা ধাতব সবুজ। বুক পীতাভ-বাদামি মিশ্রণ। পেট সাদা। লেজের ওপর পেখম নেই। উভয় পাখির মুখের পাশে রয়েছে সাদা চামড়া। ঠোঁট কালচে, পা ও পায়ের পাতা ধূসর বাদামি।

প্রধান খাবার: শস্যবীজ, গিরগিটি, সাপ, কেঁচো, পোকামাকড় ও ফলমূল। প্রজনন সময় জানুয়ারি থেকে মার্চ। বাসা বাঁধে ঝোপের নিচে মাটিতে। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ফুটতে সময় লাগে ২৬-২৮ দিন।

মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন্য পরিবেশে দেশি ময়ূর দেখা যায় না

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতি সুদর্শন এক প্রজাতির পাখি ‘দেশি ময়ূর’। স্ত্রী পাখি ‘ময়ূরী’ নামে পরিচিত। পুরুষ পাখি দেখতে ভীষণ সুন্দর হলেও কণ্ঠস্বর কর্কশ। সাধারণত এরা পাতাঝরা বনে বা বনতলে ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে। মোরগ-মুরগির মতো মাটি আঁচড়ে খাবার সংগ্রহ করে। প্রজনন মৌসুমে পরুষ পাখি পেখম উঁচিয়ে নাড়তে থাকে। যা ‘ময়ূর নৃত্য’ নামে পরিচিত। ময়ূর আমাদের দেশের স্থায়ী বাসিন্দা কিনা তা আজ অব্দি জানা যায়নি। এ নিয়ে রয়েছে খানিকটা বিতর্কও।

দেশের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও পাখি গবেষকদের মতে, ‘ঢাকা বিভাগের পাতাঝরা বনে দেশি ময়ূর দেখা যাওয়ার নজির রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পরেও নাকি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের বন্য পরিবেশে এ প্রজাতির সাক্ষাৎ মিলেছে। ভারতে রয়েছে এদের ব্যাপক বিস্তৃতি, সেখান থেকে এতদাঞ্চলে উড়ে আসা বৈচিত্র্যের কিছু নয়। দেশি ময়ূর বিশ্বে বিপদমুক্ত হলেও বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। ফলে প্রজাতিটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে সংরক্ষিত রয়েছে।

পাখির বাংলা নাম: ‘দেশি ময়ূর’, ইংরেজি নাম: ‘ইন্ডিয়ান পিফাউল’, (Indian Peafowl), বৈজ্ঞানিক নাম: Pavo cristatus। প্রজাতির পুরুষ পাখি লম্বায় পেখম ছাড়া ১০০-১১৫ সেন্টিমিটার। পেখমসহ ১৯৫-২২৫ সেন্টিমিটার। ওজন প্রায় ৪-৬ কেজি। অপরদিকে স্ত্রী পাখি লম্বায় ৯০-১০০ সেন্টিমিটার। শুধু আকারেই নয়, স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ও ওজন ভিন্ন। এদের মাথা, ঘাড় ও গলা উজ্জ্বল নীল। মাথার ঝুঁটি উপরের দিকে ছড়ানো। পিঠ ও কোমর ধাতব সবুজ। ডানার ওপর নীলাভ মিহি সাদা-কালো রেখা। ডানার প্রান্ত বাদামি। লেজের ওপর লম্বা পালক, যা ‘পেখম’ নামে পরিচিত।

পেখমের পালক উজ্জ্বল নীল, পেখমের পালকে চোখ আকৃতির চক্র থাকে, নীলাভ-তামাটে বর্ণের। স্ত্রী পাখির মুখ ও গলা সাদা। ঘাড় সবুজ, নিচের দিকটা ধাতব সবুজ। বুক পীতাভ-বাদামি মিশ্রণ। পেট সাদা। লেজের ওপর পেখম নেই। উভয় পাখির মুখের পাশে রয়েছে সাদা চামড়া। ঠোঁট কালচে, পা ও পায়ের পাতা ধূসর বাদামি।

প্রধান খাবার: শস্যবীজ, গিরগিটি, সাপ, কেঁচো, পোকামাকড় ও ফলমূল। প্রজনন সময় জানুয়ারি থেকে মার্চ। বাসা বাঁধে ঝোপের নিচে মাটিতে। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। ফুটতে সময় লাগে ২৬-২৮ দিন।

মানবকণ্ঠ