সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় মাছ ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মত এববারও চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম অর্থাৎ আশ্বিন মাসের প্রথম পূর্ণিমার দিন এবং আগে ৩ দিন, পরে ১১ দিনসহ মোট ১৫ দিন (২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর) ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণ জরুরি। মা ইলিশ নির্বিঘ্নে যাতে ডিম ছাড়তে পারে সেজন্য আগের বছর প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা ১১ দিন বন্ধ থাকলেও ডিম ছাড়ার পর মা মাছ সমুদ্রে যাবার সময় ধরা পড়ত। ফলে এ বছর সময়সীমা ৪ দিন বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধ, জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধপথে ইলিশের পাচার রোধ এবং জেলেরা যাতে মশারিজাল, বেড়জাল, কারেন্টজাল এবং বেহেন্দিজালের ব্যবহার না করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ইতিমধ্যে বিমানবাহিনী, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, র্যা বসহ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, জেলাপ্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মংলা বন্দর ১ নং বয়া থেকে পটুয়াখালির রাঙাবালি উপজেলার সোনারচর পয়েন্ট পর্যন্ত এবং বঙ্গোপসাগরের ৪ নং বয়া এলাকার সুন্দরবনসংলগ্ন সামুদ্রিক এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে মোট মাছের উৎপাদনে ইলিশের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ, একক প্রজাতি হিসাবে যা সর্বোচ্চ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশ। ইলিশ আহরণে দেশের ৫ লাখ লোক সরাসরি এবং ২০-২৫ লাখ লোক পরোক্ষভাবে জড়িত।