হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল ১১ জুলাই বুধবার। খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়িয়ে আদেশ দেন আদালত। এদিকে, বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর হাইকোর্টের একই বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এই শুনানি শুরু হয়। আজকের শুনানি শেষে আগামী রোববার পর্যন্ত এটি মুলতবি রাখেন আদালত।
একই সঙ্গে এই মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ভোগরত অন্য দুই আসামির খালাস চাওয়া আপিল এবং সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের ওপর শুনানিও চলে একই বেঞ্চে।
আদালতে আজ শুরুতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা সম্পূরক নথিপত্র প্রস্তুতের জন্য সময় চেয়ে শুনানি মুলতবির আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন খারিজ করে শুনানি শুরু করার নির্দেশ দেন।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী আবদুর রেজাক খান পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন। এরপর শুনানি করেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ছয় আসামির সবাইকে অর্থদণ্ডও দেন বিচারিক আদালত।
নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার দিন থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।