ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কফির ভালো-মন্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুন ২০১৮
  • ২৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাত জেগে পরীক্ষার প্রস্তুতি বা অফিসের অতিরিক্ত কাজের চাপের মাঝে কফির তুলনা নেই। অ্যালার্টনেস তো বটেই, এমনকি শরীরের এনার্জি বাড়াতে কফি বেশ উপযোগী পানীয়।

কিন্তু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বা নার্ভাসনেস কাটাতে আমরা কখনও-সখনও অতিরিক্ত কফিও খেয়ে ফেলি। আর তার থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। শরীরে অস্বস্তি তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে পানিশূন্যতার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস।

কফি হলো ন্যাচারাল ডাই-ইউরেটিক বা মূত্রবধর্ক। অতিরিক্ত কফি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও সলিউবল মিনারেল বের করে দেয়। সোডিয়ামের শোষণ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয় কফি। ফলে শরীরের তথা কোষের সতেজ সজীব হওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। তাই কফির প্রভাব কমাতে কফির সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা।

তবে পরিমিত কফি খেলে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শুধু কফি নয়, চা বেশি খেলেও ক্যাফেইনের কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই পরিমিত কফি যেমন রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, তেমনই অতিরিক্ত কফির কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কফির ভালো-মন্দ

আপডেট টাইম : ০২:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাত জেগে পরীক্ষার প্রস্তুতি বা অফিসের অতিরিক্ত কাজের চাপের মাঝে কফির তুলনা নেই। অ্যালার্টনেস তো বটেই, এমনকি শরীরের এনার্জি বাড়াতে কফি বেশ উপযোগী পানীয়।

কিন্তু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে বা নার্ভাসনেস কাটাতে আমরা কখনও-সখনও অতিরিক্ত কফিও খেয়ে ফেলি। আর তার থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। শরীরে অস্বস্তি তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে পানিশূন্যতার মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস।

কফি হলো ন্যাচারাল ডাই-ইউরেটিক বা মূত্রবধর্ক। অতিরিক্ত কফি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও সলিউবল মিনারেল বের করে দেয়। সোডিয়ামের শোষণ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয় কফি। ফলে শরীরের তথা কোষের সতেজ সজীব হওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। তাই কফির প্রভাব কমাতে কফির সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা।

তবে পরিমিত কফি খেলে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শুধু কফি নয়, চা বেশি খেলেও ক্যাফেইনের কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই পরিমিত কফি যেমন রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, তেমনই অতিরিক্ত কফির কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।