হাওর বার্তা ডেস্কঃ যদিও ব্যাপরটা উচিৎ নয়, তারপরেও অনেকে মুক্ত পাখিকে খাঁচায় বন্দি করে পুষতে পছন্দ করেন। পাখির শরীরে এক ধরনের পোকা হয়, এটা পাখি ছাড়াও পরিবারের সবার জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য। পাখির শরীরে পোকার আক্রমণ হলে বিচলিত না হয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই তা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই আপনার পোষা পাখির গায়ের পোকা দূর করতে কীভাবে যত্নআত্তি করবেন।
পাখি খাঁচা থেকে সরিয়ে খাঁচাটি ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে আরেকবার ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে। প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার এভাবে পাখির খাঁচার যত্ন করতে হবে। প্রতিদিন খাঁচার ট্রে, খাবারের বাটি, পানির পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
পাখিদের নিমপাতা সেদ্ধ করা পানিতে গোসল করতে দিন। গ্রীষ্মকালে গোসলের জন্য পানির পাত্র দিতে হবে ১/২ দিন পরপর এবং শীতকালে সপ্তাহে ২ বার। গোসলের পাত্রটি অবশ্যই পাখির দেহের আকারের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ হতে হবে, বেশি বড়ও না কিংবা ছোটও না। গোসলের পানি সকাল ১০-১১টার মধ্যে খাঁচায় রাখতে হবে এবং ২ ঘণ্টা পরে খাঁচা থেকে বের করে ফেলতে হবে।
যদিও পাখির উপর পানি স্প্রে করে গোসল করানো যায়। কিন্তু, পানির পাত্রে গোসল করানোই উত্তম। কারণ, এতে করে তারা নিজের ইচ্ছা এবং প্রয়োজন মতন গোসল সেরে নিতে পারে।
পোকা দূর করতে নিমের দ্রবণ দিয়ে টানা ৭-১০ দিন গোসল করাবেন। গোসলের পর অবশ্যই কিছুক্ষণ রোদে রাখবেন শরীর না শুকানো পর্যন্ত।
পাখির খাঁচায় বসার লাঠি (perch) পরিবর্তন করে তাজা নিমের ডাল ব্যবহার করতে হবে। নিমের ডালের পার্চ জীবাণুনাশক/পোকানাশক হিসেবে কাজ করে। পাখির চামড়া, পালক ও ঠোট সুস্থ রাখে, পাখির বসতে সুবিধা হয়, ঠাণ্ডায়/শীতকালে পাখির শরীর গরম রাখে, ব্রিডিংয়ের সময় মেটিং সফল হতে ও ডিম ফার্টাইল হতে সাহায্য করে।
নিমের দ্রবণ তৈরির নিয়ম:
১০টি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে ১ লিটার পরিমাণ ফুটন্ত গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এরপরে পাত্রটি ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট ধরে হালকা আঁচে সিদ্ধ করুন। পানির রঙ হালকা সবুজাভ বাদামী হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ঠাণ্ডা হতে দিন। পাখিকে গোসলের জন্য এই পানিটা গোসলের পাত্রে অথবা পাখির গায়ে স্প্রে করে দিতে পারেন।