ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরল দর্শন গোলাপি কাঠশালিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮
  • ৪২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিরল দর্শন পরিযায়ী পাখি। মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে আসে। যত্রতত্র দেখার নজির নেই। সিলেটের বনাঞ্চল এবং সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা মেলে। দেখা মেলে কিছু কিছু দীপাঞ্চলেও। প্রাকৃতিক আবাসস্থল স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমি। কাঁটা ঝোপ কিংবা ছোট ফল গাছেও বিচরণ রয়েছে। বিচরণ করে একাকী কিংবা ছোট দলেও।

দেখতে অনেকটাই ভাত শালিক কিংবা ঝুঁটি শালিকের মতো। সর্বসাধারণের ধারণা এরা বুনো ময়না। অনেকে ‘লাল ময়না’ নামে ডাকে তাই। এদের সুর তত শ্রুতিমধুর নয়, ডাকে ‘চিক-ইক-ইক-ইক’ সুরে। প্রকৃতিতে এরা ভালো অবস্থানে নেই বিধায় আইইউসিএন প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পাখির বাংলা নাম: ‘গোলপি কাঠশালিক’, ইংরেজি নাম: ‘রোজি স্টার্লিং’ (Rosy Starling), বৈজ্ঞানিক নাম: Strunus roseus। এরা ‘গোলাপি শালিক’ নামেও পরিচিত। দেশে প্রায় ১১ প্রজাতির শালিক নজরে পড়ে।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার। মাথা, ঘাড়, গলা, ডানা ও লেজ কালো। পিঠ, বুক এবং লেজের নিচের গোড়া পর্যন্তও হালকা গোলাপি। ঠোঁট ও পা ফিকে গোলাপি। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম মনে হলেও প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখির রং বদলায়। এ সময় পুরুষ পাখির গায়ের রং চকচকে গোলাপি দেখায়। তাছাড়া মাথার ঝুঁটি খানিকটা বেড়ে ওঠে। যুবাদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের রং তুলনামূলক উজ্জ্বল।

প্রধান খাবার: পোকামাকড় হলেও ছোট ফল, ফুলের মধু শস্যদানা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুন। বাসা বাঁধে খাড়া মাটির দেয়ালে। বিশেষ করে উঁচু পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে বা ফাটলে বাসা বাঁধে। দলের অনেকে মিলে কলোনি টাইপ বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন। লেখক: আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিরল দর্শন গোলাপি কাঠশালিক

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিরল দর্শন পরিযায়ী পাখি। মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে আসে। যত্রতত্র দেখার নজির নেই। সিলেটের বনাঞ্চল এবং সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা মেলে। দেখা মেলে কিছু কিছু দীপাঞ্চলেও। প্রাকৃতিক আবাসস্থল স্যাঁতসেঁতে তৃণভূমি। কাঁটা ঝোপ কিংবা ছোট ফল গাছেও বিচরণ রয়েছে। বিচরণ করে একাকী কিংবা ছোট দলেও।

দেখতে অনেকটাই ভাত শালিক কিংবা ঝুঁটি শালিকের মতো। সর্বসাধারণের ধারণা এরা বুনো ময়না। অনেকে ‘লাল ময়না’ নামে ডাকে তাই। এদের সুর তত শ্রুতিমধুর নয়, ডাকে ‘চিক-ইক-ইক-ইক’ সুরে। প্রকৃতিতে এরা ভালো অবস্থানে নেই বিধায় আইইউসিএন প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পাখির বাংলা নাম: ‘গোলপি কাঠশালিক’, ইংরেজি নাম: ‘রোজি স্টার্লিং’ (Rosy Starling), বৈজ্ঞানিক নাম: Strunus roseus। এরা ‘গোলাপি শালিক’ নামেও পরিচিত। দেশে প্রায় ১১ প্রজাতির শালিক নজরে পড়ে।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার। মাথা, ঘাড়, গলা, ডানা ও লেজ কালো। পিঠ, বুক এবং লেজের নিচের গোড়া পর্যন্তও হালকা গোলাপি। ঠোঁট ও পা ফিকে গোলাপি। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম মনে হলেও প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখির রং বদলায়। এ সময় পুরুষ পাখির গায়ের রং চকচকে গোলাপি দেখায়। তাছাড়া মাথার ঝুঁটি খানিকটা বেড়ে ওঠে। যুবাদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের রং তুলনামূলক উজ্জ্বল।

প্রধান খাবার: পোকামাকড় হলেও ছোট ফল, ফুলের মধু শস্যদানা ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। প্রজনন মৌসুম মে থেকে জুন। বাসা বাঁধে খাড়া মাটির দেয়ালে। বিশেষ করে উঁচু পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে বা ফাটলে বাসা বাঁধে। দলের অনেকে মিলে কলোনি টাইপ বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন। লেখক: আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ