ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিন তিনটি খেজুর খেলে কী হয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মে ২০১৮
  • ৪৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপনি কি জানেন, খেজুরের মধ্যে আঁশ রয়েছে? আঁশ হজম ভালো করতে সাহায্য করে। তাই খেজুর খেলে হজম ভালো হয়।এ ছাড়া খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুর খুব উপকারী। এটি রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। খেঁজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগারের জন্য এটি খেতে খুব সুস্বাদু।

দিনে কেবল তিনটি খেজুর খাওয়া ভিটামিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণে কাজ করে। প্রতিদিন তিনটি খেজুর খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

আয়রনের চমৎকার উৎস
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

চোখ ভালো রাখতে
খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউটেইন। এগুলো ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য
আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর খান। এরপর এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমবে।

ওজনের ভারসাম্য রাখে
খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি খেলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়। তবে ওজন বাড়ে না।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
নিয়মিত খেজুর খাওয়া হার্টের সমস্যা কমাতে উপকারী। এক গ্লাস পানির মধ্যে বিচি ফেলে কয়েকটি খেজুর রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরসহ এই পানি ব্ল্যান্ড করুন। দিনে কয়েকবার এই পানি খেতে পারেন। এটি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে কম পরিমাণ সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেঁজুর উপকারী।

স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
খেঁজুরের মধ্যে থাকে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম। এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।

এ ছাড়া খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস। এটি মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এসব উপকারগুলো পেতে খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অন্তত তিনটি খেজুর রাখুন। তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতিদিন তিনটি খেজুর খেলে কী হয়

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপনি কি জানেন, খেজুরের মধ্যে আঁশ রয়েছে? আঁশ হজম ভালো করতে সাহায্য করে। তাই খেজুর খেলে হজম ভালো হয়।এ ছাড়া খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুর খুব উপকারী। এটি রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে। খেঁজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগারের জন্য এটি খেতে খুব সুস্বাদু।

দিনে কেবল তিনটি খেজুর খাওয়া ভিটামিনের চাহিদা অনেকটাই পূরণে কাজ করে। প্রতিদিন তিনটি খেজুর খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতার কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

আয়রনের চমৎকার উৎস
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

চোখ ভালো রাখতে
খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউটেইন। এগুলো ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য
আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর খান। এরপর এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমবে।

ওজনের ভারসাম্য রাখে
খেজুর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি খেলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হয়। তবে ওজন বাড়ে না।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
নিয়মিত খেজুর খাওয়া হার্টের সমস্যা কমাতে উপকারী। এক গ্লাস পানির মধ্যে বিচি ফেলে কয়েকটি খেজুর রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরসহ এই পানি ব্ল্যান্ড করুন। দিনে কয়েকবার এই পানি খেতে পারেন। এটি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে কম পরিমাণ সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেঁজুর উপকারী।

স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
খেঁজুরের মধ্যে থাকে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম। এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।

এ ছাড়া খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে ফসফরাস। এটি মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এসব উপকারগুলো পেতে খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন অন্তত তিনটি খেজুর রাখুন। তবে যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।