হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাক, তাও আবার ধবধবে সাদা! গোলাপি পা, ঠোঁট। প্রতিদিন কালো কাক দেখেই যারা ধ্যাৎতেরিকা করেন, এমন বিরল কাক দেখে তারাই এবার ভিড় জমালেন।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও সকালে দোকান খুলেছিলেন ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার রামকৃষ্ণ মাইতি। নন্দ মার্কেটে দোকানের বাইরে একটি নারকেল গাছের নীচে হঠাৎই চোখ যায় তার। সাদা রংয়ের একটি পাখিকে দেখেই কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে যান রামকৃষ্ণ।
সাদা রঙের পাখিটি যে বাচ্চা, তা দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সম্ভবত নারকেল গাছের মাথায় থাকা বাসা থেকেই পড়ে গিয়েছে সে। কিন্তু গঠন যে অবিকল কাকের মতোই! কিন্তু গায়ের রং ধবধবে সাদা।
দেরি না করে সেই কাককেই দোকানে তুলে আনেন রামকৃষ্ণ। পরম যত্নে খেতে দেন পানি-বিস্কুট। খবর দেন বন দপ্তরে। ততক্ষণে সাদা কাক ধরা পড়ার খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিড় জমতে শুরু করে তার দোকানে। কাক নিয়ে হই হট্টগোলে তখন দোকানে ব্যবসা লাটে উঠেছে।
কাক দেখার ভিড় ক্রমশ বাড়তেই থাকে। কেউ মোবাইলে ছবি তুলছে, কেউ আবার টুক করে তুলে ফেলেছেন সেলফি! অনেকে আবার দেরি না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে ফেলেছেন বিরল সাদা কাকের ছবি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বন দপ্তরের বেলদা অফিস থেকে একটি দল এসে পাখিটিকে উদ্ধার করে। বন দপ্তরের কর্মীরাও জানান, সেটি সাদা কাকই।
পাখি বিশেষজ্ঞ শুভঙ্কর পাত্র বলেন, পালকে পিগমেন্টের অভাবেই কাকটির পালকের রং সাদা হয়েছে। এদের শরীরে অনেক সময়ে সাদা পালকের সঙ্গে কালো পালকও দেখা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য কাকের পুরো শরীরই সাদা। ঠিক যেভাবে সাদা বাঘ দেখা যায়। আর পাঁচটা কাকের সঙ্গে এরাও দল বেঁধে থাকতে পারে। বাঁচেও অন্যান্য কাকের মতোই।
বন দফতর এসে সাদা কাক উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পরেও অবশ্য বেলদা বাজারে কয়েকজনের মধ্যে একটা আলোচনাই ঘুরে ফিরে আসছিল। এমন সুদর্শন সাদা কাকও কি কর্কশ সুরেই কা কা-ই ডাকবে?