৭ নবজাতকের মধ্যে চারজনই মারা গেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীর গর্ভে সোমবার জন্ম নেয়া সাত নবজাতকের মধ্যে চারজনই মারা গেছে। বাকি তিন নবজাতকের দুজন হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে বাসায় ফিরেছে। অন্যজন এখনও চিকিৎসাধীন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সুইটি খাতুনের গর্ভের তিন নবজাতকই মারা গেছে। গত ২৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় ৭০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে, ২৬ মে ভোর রাতে ৯০০ গ্রামের ছেলে ও ওদিন সকাল ১টায় ৯০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে মারা যায়।

অন্যদিকে সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের দুজন সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে গেছে। অন্য দুজনের একজন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় এবং অপরজন চিকিৎসাধীন। বাসায় ফিরে যাওয়া দুই নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।

সনিয়া খাতুনের গর্ভে জন্ম নেওয়া চারজন নবজাতকের মধ্যে প্রথমজনের ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম, দ্বিতীয়জনের ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, তৃতীয়জনের ওজন ১ কেজি ৫৬০ গ্রাম ও চতুর্থজনের ২ কেজি ১০০ গ্রাম।

সুইটি খাতুনের তিন নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুব্রত মণ্ডল সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারের বরাত দিয়ে জানান, সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকদের বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। তবে নবজাতকেরা অনেক বেশি প্রিমেচিউর ছিল।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমার অধীনে প্রসূতি মা সনিয়া আক্তারের গর্ভে চারজন ও সোমবার সকালে  অধ্যাপক ডা. রুমানা শেখের অধীনে সুইটি খাতুনের গর্ভে অপর তিন নবজাতক জন্মগ্রহণ  করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর