হাওর বার্তা ডেস্কঃ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলি, রাজ্যিক পর্যটনে উৎকর্ষতা সাধন করেছে। তার ওপর সুবিশাল প্রাচীন প্রসারণ ও স্বর্ণালী বালুকার সঙ্গে সমুদ্র সৈকত আকর্ষণের ভার অর্পণ করে নিয়েছে, যেগুলো আপনার আত্মাকে পুনুরুজ্জীবিত করার এবং সব ধরনের বিরক্তি থেকে আপনাকে মুক্ত করার ক্ষমতা রাখে। আন্দামান ও নিকোবরের দ্বীপপুঞ্জ, তার অনুপম সৌন্দর্য, উত্তেজক উদ্ভিদ ও প্রাণিকূলের সমৃদ্ধতায় সস্নেহে উপাধিপ্রাপ্ত ‘পান্না দ্বীপপুঞ্জ’ হিসেবে। এভাবে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে রাজ্য পর্যটন তার সংযোগকে সুশোভিত ও বিস্তৃত করে তুলেছে। প্রকৃতপক্ষে সুন্দর লোকালয়, সূর্য-চুম্বিত সমুদ্র সৈকত, লোভনীয় পিকনিক স্থল এবং অন্যান্য বিভিন্ন চমকপ্রদ সৌন্দর্য– এই রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থায় আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।
এতকিছুর পরেও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রয়েছে অনেক মজার মজার অজানা তথ্য, যা আপনি হয়তো জানেন না। আসুন আজ আমরা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এমন কিছু মজার তথ্য জেনে নেই।
আন্দামান ও নিকোবর—দু’টো নামই এসেছে মালয় ভাষা থেকে।
আন্দামানিজ বা নিকোবরিজ ভাষা নয়, শুনতে অবাক লাগলেও এখানকার বহুল প্রচলিত ভাষা কিন্তু বাংলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিন্দি।
নিকোবরের একটি ছোট্ট দ্বীপ কাটচাল। এই দ্বীপ শতাব্দীর প্রথম সূর্যদয় দেখেছিল।
পৃথিবীর বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপের ‘বাড়ি’ এখানেই।
এখানকার উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে বিশ্বের বিচ্ছিন্নতম প্যালিওলিথিক উপজাতিরা থাকেন। বর্তমানে এদের সংখ্যা তিনশোর আশেপাশে।
এখানকার রাজ্যপশু ‘ডুগঙ্গ’। এদের ‘সামুদ্রিক গরু’ও বলা হয়। এরা খুবই শান্ত ও নিরামিষাশী। ‘ডুগঙ্গ’কে ‘সমুদ্রের পরী’ও বলা হয়।
‘পান্ডুনাস’ নামে (আমাদের দেশে কেয়া ফল নামে পরিচিত) বিরলতম এই ফল পাওয়া যায় নিকোবরে। স্থানীয় মানুষদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাদ্য।
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।
আন্দামানের ব্যারেন দ্বীপে ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সন্ধিপদ প্রাণীটিও পাওয়া যায় এখানেই। বির্গাস লাটরো বা রবার ক্রাবের দেখা পেতে পারেন এখানে বেড়াতে গেলে।
ভাগ্যে থাকলে সুইফ্টলেট পাখির দেখাও পেতে পারেন। এই পাখির বাসা খাদ্য হিসাবেও জনপ্রিয়।
জানেন কি, আন্দামানের ছবি ব্যবহার করা হয় বিশ টাকার নোটে।
আন্দামানের বারাটাঙ্গ ভারতের একমাত্র এলাকা যেখানে কাদার আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
ভারতের প্রথম বাণিজ্যিক জলবিমান, ‘জল হংস’ প্রথম আন্দামানেই চালানো হয়।
ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু ‘ইন্দিরা পয়েন্ট’ও এখানেই অবস্থিত।