ঈদের কয়েক দিন আগেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এক কথায় ত্বক যেন সতেজ থাকে সেজন্য মুখের ফেসিয়াল বা স্ক্রাবিং করে নিতে হবে। ঈদের দিনের সাজে শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ, পোশাক যা-ই হোক মেকআপ হবে স্নিগ্ধ আর কোমল। তবে রাতে যেহেতু তাপমাত্রা কম থাকে ওয়েস্টার্ন লুকেও একটু ভারী মেকআপ করে নিতে পারবেন। কোন ত্বকে কেমন মেকআপ করলে ভাল লাগবে।
দিনের মেকআপ:
তৈলাক্ত ত্বক: ম্যাট ফাউন্ডেশন দিয়ে বেইস করুন। ত্বক তৈলাক্ত হলে প্রথমে সারা মুখে লুজ পাউডার লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগান। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে ওয়াটার প্রুফ ফাউন্ডেশন দিন।
মিশ্র ত্বক: মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে মুখের টি-জোন বাদ দিয়ে বাকি অংশে ক্রিম এবং টি-জোনে পাউডার দিন। তারপর ফাউন্ডেশন দিন। ত্বক যা-ই হোক, কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে শেষ করুন বেইস মেকআপ।
শুষ্ক ত্বক : ত্বক শুষ্ক হলে আগে বিবি বা সিসি ক্রিম লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগান।
প্যানকের ব্যবহার: রাতের সাজে তৈলাক্ত ত্বকে দিন লিকুইড ফাউন্ডেশন আর শুষ্ক ত্বকে ক্রিম ফাউন্ডেশন। জমকালো সাজ সাজলে ফাউন্ডেশন দেবার পর প্যানকেক লাগিয়ে নিন। রাতে জমকালো আর ভারী সাজ সাবারই ভাল লাগবে। প্যানকেক যেন ত্বকের সাথে মানিয়ে যায়। তা না হলে সাজে ন্যাচারাল লুক থাকবে না। গায়ের রং চাপা হলে হলুদ আর গোলাপি সমপরিমাণে ব্লেন্ড করে লাগান। উজ্জ্বল ত্বকের ক্ষেত্রে হলুদের পরিমাণ গোলাপির চেয়ে কম লাগবে।
মেকআপ ব্লেন্ডিং: তবে সব ক্ষেত্রেই মেকআপ ব্লেন্ডিং খুব জরুরি। ত্বকের সঙ্গে বেইস যত ভালোভাবে মিশে যাবে, ততই ন্যাচারাল লুক আসবে। তারপর কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। ব্লাশনের জন্য বাদামি থেকে শুরু করে গোলাপির যেকোনো রং নিন। গায়ের রং চাপা হলে বাদামি আর গোলাপি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য গোলাপির যেকোনো শেডই মানানসই। রাতের জমকালো পার্টিতে চাইলে শিমার পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
চুল বাধবেন কিভাবে: কোথাও বেড়াতে যাবার সময় ফ্রেঞ্চ বেণি করে নিতে পারেন। আবার কানের পাশ থেকে কিছু চুল টেনে মাথার পেছনে বেঁধে নিতে পারেন ক্লিপ বা পাঞ্চ দিয়ে। সামনের অংশের চুল ফুলিয়েও পাঞ্চ আটকানো যায়। একটু উঁচু করে পাঞ্চ লাগিয়ে সামনের কিছু চুল বের করে রাখলে সেটাও ভাল লাগবে। রাতের সাজে চুলগুলোকে নিচের দিকে রোলার দিয়ে পেঁচিয়ে একটু কোঁকড়ানো ভাব এনে ছেড়ে দিতে পারেন। যাদের চুল সামনের দিকে ছোট তারা সামনের চুলগুলোকে একদিকে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। পেছনের চুলগুলোতে এলোমেলো খোপা করে তার ওপরে কিছু চুল ছড়িয়ে দিন। টানা খোপা করলে ভাল লাগবে না। খুব বেশি ব্যস্ত থাকলে চুল ছেড়ে না রাখাই ভাল হবে। চুলের সাজের সময় আপনার মুখের গড়নের কথাও মাথায় রাখুন। যাদের মুখ গোল, তারাকপালের দিকটা কমফোলান। লম্বাটে চেহারা যাদের, তারাপেছনের দিকটা ফুলিয়েনিতে পারেন। চাপা মুখের যারা, তারা দুই পাশেই হালকা করে চুল ফুলিয়ে নিন।এতে ভালো দেখাবে।