সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে জাতীয় লিগের ম্যাচ শুরু হবে-এটা জানাই ছিল। এই লিগে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অংশ নিবেন, তাও জানা কথা। এ সময় জাতীয় দলের বাকী ক্রিকেটাররা ভারতে থাকবেন, তাও জানা। কোচ হাথুরুসিংহে ঘরোয়া ক্রিকেটের চার ভেন্যুর একটিতে ক্রিকেটারদের হালচাল খেয়াল করবেন, সেটা জানা থাকলেও বাস্তবে ঘটল উল্টো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি ১০ দিনের ছুটি নিয়ে নিলেন। বিসিবি তা আবার মঞ্জুরও করল!
অথচ কয়েকদিন আগেই লম্বা ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় পা রেখেছেন তিনি। এই সময় প্রাকটিস না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবদের খেলা পরখ করার কথা ছিল তার। বিসিবির একাংশের কর্মকর্তারা কানাঘুষা করছেন, এই সময় কোচ জাতীয় লিগের খেলা দেখলে সেটা দলের জন্য ভাল হতো। খেলোয়াড়দের উন্নতি-অবনতি বুঝতে পারতেন।
এ দলের বাইরে থাকা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ড খেলবেন। তাই এই পর্বটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কোচকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছুটিতে পাঠানোয় বোর্ডের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। কেউই ‘রহস্যজনক’ এই ছুটির মর্মার্থ বুঝে উঠতে পারছেন না।
‘জাতীয় লিগের এই রাউন্ড অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোচ নিজেই চেয়েছিলেন অজিরা আসার আগে জাতীয় লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলতে। তার থাকার কথা ছিল। নিজেই বলেছিলেন, সবাইকে মাঠে দেখতে চান। কিন্তু তার না থাকাটা খেলোয়াড়দের কাছে নেগেটিভ বার্তা দিতে পারে। সবার মাঝে গাছাড়া একটা ভাব আসতে পারে। ’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিবি কর্তা।
তবে বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী কোচকে ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাইলেন, ‘বেশির ভাগ খেলোয়াড় ভারতে থাকায় কোচকে ছুটি দেয়া হয়েছে।’