গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন-ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম, সদর-কারিগরি) কমলেশ চন্দ্র বর্মন, মাওনা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, এজিএম মো. তানভীর সালাউদ্দিন, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, লাইনম্যান পারভেজ মিয়া, শাখাওয়াত হোসেন ও আবুল কাশেম।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আকমল হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যান। এতে বিআরটিসির ডাবল ডেকারের ছয়টি ও তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে যান তারা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশে উত্তর পেলাইদ গ্রামের যেতে থাকে। বাসগুলো গ্রামীণ সড়কের উদয়খালী বাজারে পৌঁছলে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসটি বাজারের ওপর পল্লী বিদ্যুতের তারে স্পর্শ হয়। ওই বাসে ৬০-৭০ জন ছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে তিন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।