চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও বহদ্দার হাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ ছাত্র-জনতার উপর ২৮টি গুলি চালিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ জানান, ৫ হাজার টাকায় তাকে এ কাজে ভাড়া করেছিলেন চান্দগাঁও এলাকার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর এসরারুল হক।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ। ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণকারী ফরিদ চিহ্নিত হবার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, ফরিদ চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানাধীন শমশের পাড়ার বড় পুকুরপাড় এলাকার মনু সওদাগর বাড়ির মো. সেকান্দরের ছেলে।
চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ। এই আন্দোলনে ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে জানিয়েছেন ফরিদ। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।