ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

স্বেচ্ছাশ্রমে স্কুল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট দূর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া চৌরাস্তা সড়কে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। নির্মাণ শেষে আজ শনিবার সকালে সাঁকোটি সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে  দিয়েছে তারা। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শালচূড়া চৌরাস্তা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা যাতায়াত করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ি ঢলে এ সড়কের ওপর নির্মিত সাঁকোটি বিধ্বস্ত হয়। এ পথে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময়ে আবেদন  করা হলেও সাঁকোটি আর পুন:নির্মাণ করা হয়নি। বিষয়টি শালচূড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের নজরে আসলে তিনি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করেন। পরে স্কুল শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা দুদিন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আল আমিন বলেন, সেতু না থাকায় আমাদের অনেক দূর ঘুরে বিদ্যালয়ে যেতো হতো। এখন সহজেই যেতে পারব।

শালচূড়া গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম বলেন, সেতুটি না থাকায় যাতায়াতের সমস্যা ছিল। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এখন এলাকাবাসী সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

স্থানীয় জনসাধারণ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় জানিয়ে শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বাঁশের সাঁকোর বদলে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

স্বেচ্ছাশ্রমে স্কুল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট দূর

আপডেট টাইম : ০৩:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া চৌরাস্তা সড়কে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। নির্মাণ শেষে আজ শনিবার সকালে সাঁকোটি সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে  দিয়েছে তারা। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শালচূড়া চৌরাস্তা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা যাতায়াত করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাহাড়ি ঢলে এ সড়কের ওপর নির্মিত সাঁকোটি বিধ্বস্ত হয়। এ পথে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময়ে আবেদন  করা হলেও সাঁকোটি আর পুন:নির্মাণ করা হয়নি। বিষয়টি শালচূড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুন-অর-রশিদের নজরে আসলে তিনি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করেন। পরে স্কুল শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা দুদিন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আল আমিন বলেন, সেতু না থাকায় আমাদের অনেক দূর ঘুরে বিদ্যালয়ে যেতো হতো। এখন সহজেই যেতে পারব।

শালচূড়া গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম বলেন, সেতুটি না থাকায় যাতায়াতের সমস্যা ছিল। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এখন এলাকাবাসী সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

স্থানীয় জনসাধারণ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় জানিয়ে শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ বাঁশের সাঁকোর বদলে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান।