ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো ও করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩১৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধারণ জ্বর দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি ডেঙ্গু জ্বরে রূপ নেয়। ডেঙ্গু জ্বরের কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে বোঝা যায় রোগীটি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো।

তীব্র মাথা ব্যথা:
ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ হল তীব্র মাথা ব্যথা করা। মাথা ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি ব্রেন হেমোরেজের মতো সমস্যাও হতে পারে। যা মৃত্যুর কারণ হয় অনেক সময়।

হঠাৎ জ্বর:
ডেঙ্গু জ্বর শুরুটা হয়ে থাকে তীব্র জ্বর দিয়ে। হঠাৎ করে হয়ে যেতে পারে তীব্র জ্বর। সাধারণত সেই জ্বরে তাপমাত্রা ১০২ ফারেনহাইটের উপরে উঠে যায় এবং তা সহজে নামে না।

পানি শূন্যতা:
শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয় ডেঙ্গু জ্বর। বেশি তাপমাত্রার কারণে শরীরে পানি শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ই শরীরে ফুইডের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগীকে স্যালাইন পান করতে দেওয়া উচিত। এতে কিছুটা হলেও পানির ঘাটতি কমে যাবে।

রক্তক্ষরণ:
ডেঙ্গু হলে শরীরের নানা জায়গায় রক্তরণ হতে দেখা যায়। বাইরের অঙ্গের পাশাপাশি শরীরের ভেতরের অঙ্গ যেমন মস্তিষ্কেও রক্তরণ হতে পারে। যা একজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে থাকে।

স্নায়ুর সমস্যা:
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী অনেক সময় স্নায়ুর  সমস্যায় ভোগেন।   যা মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে থাকে।

ত্বকের সমস্যা:
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর ত্বকে লাল লাল ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। সাধারণত ডেঙ্গু হওয়ার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে ত্বকে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বমি ভাব:
ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি অন্যতম ও প্রধান লক্ষণ হল বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব অনুভব হওয়া। অনেক সময় বমি তেমন না হলেও প্রচন্ড বমি ভাব হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরের এই লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অতিসত্বর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এর যে কোনো একটি লক্ষণ থেকে হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর।

করণীয়:
১। এই জ্বর সাধারণত ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়।

২। রোগীকে প্রচুর পানি, লেবু এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি।

৩। সারা শরীর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

৪। মাথায় স্বাভাবিক পানি দেওয়া যাবে এবং তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ভাল করে মাথা মুছে ফেলতে হবে।

ঔষধ: ঔষধের মধ্যে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়াবেন। অন্যান্য ঔষধ যেমন এন্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়াবেন না।

সতর্কীকরণ: ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। সুতরাং কারো জ্বর যদি ৩/৪ দিনের বেশি থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো ও করণীয়

আপডেট টাইম : ০৯:১২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধারণ জ্বর দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি ডেঙ্গু জ্বরে রূপ নেয়। ডেঙ্গু জ্বরের কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে বোঝা যায় রোগীটি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো।

তীব্র মাথা ব্যথা:
ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ হল তীব্র মাথা ব্যথা করা। মাথা ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি ব্রেন হেমোরেজের মতো সমস্যাও হতে পারে। যা মৃত্যুর কারণ হয় অনেক সময়।

হঠাৎ জ্বর:
ডেঙ্গু জ্বর শুরুটা হয়ে থাকে তীব্র জ্বর দিয়ে। হঠাৎ করে হয়ে যেতে পারে তীব্র জ্বর। সাধারণত সেই জ্বরে তাপমাত্রা ১০২ ফারেনহাইটের উপরে উঠে যায় এবং তা সহজে নামে না।

পানি শূন্যতা:
শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয় ডেঙ্গু জ্বর। বেশি তাপমাত্রার কারণে শরীরে পানি শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ই শরীরে ফুইডের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগীকে স্যালাইন পান করতে দেওয়া উচিত। এতে কিছুটা হলেও পানির ঘাটতি কমে যাবে।

রক্তক্ষরণ:
ডেঙ্গু হলে শরীরের নানা জায়গায় রক্তরণ হতে দেখা যায়। বাইরের অঙ্গের পাশাপাশি শরীরের ভেতরের অঙ্গ যেমন মস্তিষ্কেও রক্তরণ হতে পারে। যা একজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে থাকে।

স্নায়ুর সমস্যা:
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী অনেক সময় স্নায়ুর  সমস্যায় ভোগেন।   যা মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে থাকে।

ত্বকের সমস্যা:
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর ত্বকে লাল লাল ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। সাধারণত ডেঙ্গু হওয়ার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে ত্বকে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বমি ভাব:
ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি অন্যতম ও প্রধান লক্ষণ হল বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব অনুভব হওয়া। অনেক সময় বমি তেমন না হলেও প্রচন্ড বমি ভাব হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরের এই লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অতিসত্বর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এর যে কোনো একটি লক্ষণ থেকে হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর।

করণীয়:
১। এই জ্বর সাধারণত ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়।

২। রোগীকে প্রচুর পানি, লেবু এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি।

৩। সারা শরীর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

৪। মাথায় স্বাভাবিক পানি দেওয়া যাবে এবং তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ভাল করে মাথা মুছে ফেলতে হবে।

ঔষধ: ঔষধের মধ্যে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়াবেন। অন্যান্য ঔষধ যেমন এন্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়াবেন না।

সতর্কীকরণ: ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। সুতরাং কারো জ্বর যদি ৩/৪ দিনের বেশি থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।