হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষ্ণহরিণ শিকার মামলায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খানকে। যোধপুর আদালতের পক্ষ থেকে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯-এর ধারায় এই মামলায় আজ বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করা হয় সালমানকে। এই মামলায় অপর চার আসামি সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
১৯৯৮ সালে হিন্দি সিনেমা হাম সাথ সাথ হ্যায়’র শুটিং চলাকালীন যোধপুরের কাছে কঙ্কনী গ্রামে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে মামলাও দায়ের হয়। সিনেমাটিতে সালমান খানেরসহ অভিনয়শিল্পী সাইফ আলী খান, সোনালী বেন্দ্রে, টাবু ও নীলমকেও এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
সালমানের বিরুদ্ধে দুইটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ছিল। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ৫১ ও ১৪৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাজা ছয় বছরের জেল।
এর আগে, ২০০৬ সালে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল সালমানকে। কয়েকদিন জেলেও ছিলেন এ অভিনেতা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একই বছর সালমানকে দেয়া আদালতের সাজা স্থগিত করেন রাজস্থান আদালত। ২০১৬ সালে রাজস্থান উচ্চ আদালত এ মামলা থেকে এই অভিনেতাকে অব্যাহতি দেন।
আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালমানের বন্দুকের গুলিতেই যে হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু রাজস্থান সরকার এ বিষয়ে আপিল করলে সালমানকে পুনরায় আদালত থেকে নোটিশ পাঠানো হয়।
গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। বাদি পক্ষের আইনজীবী প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য তুলে ধরেন। ২৩ অক্টোবর বাদি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর সালমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং তা শেষ হয় চলতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। গত ২৪ মার্চ এটি শেষ হয়েছিল।