ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধন্যবাদ অফিসার অ্যান্ড ট্রুপস : আসিফ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৫৫ বার

সিনেমার শ্যুটিং শেষে স্টুডিও থেকে এটিএন বাংলার প্রশাসনিক ভবনে গেলাম। ওখান থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিচে নেমে এসে গাড়িতে উঠলাম। স্টুডিও লাইট এবং প্রচন্ড গরমে দুর্বল লাগছিলো, গত কয়েক দিনের টানা রেকর্ডিংয়ে আমি ক্লান্ত। জ্যামের ভয়ে বাসায় না গিয়ে অফিসে চলে গেলাম। লাঞ্চ সেরে একটু রেস্ট নেবো। হঠাৎ মইনুল এসে বলে র‍্যাব, ডিবি পুলিশ নিচে, গাড়ির চাবি দিচ্ছে না।

নিচে নেমে দেখি আমার ড্রাইভার হাতকড়া পরিহিত, র‍্যাব-২ এবং গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবা গুনছে। ঘটনাটা মেলাতে পারছিলাম না, অফিসার জানালেন আমার ড্রাইভার ইয়াবা সেবন করে, পাশাপাশি ব্যবসাও করে। গত তিন /চার দিন ধরে তাকে তারা নজরদারীতে রেখেছে এবং চৌকস গোয়েন্দাদের একটি দল ক্রেতা হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলো। ড্রাইভারের সাম্প্রতিক গতিবিধি সন্দেহজনক আমার কাছেও মনে হয়েছে, এটা বাসায় ও অফিসে আগেই জানিয়েছি।

এটিএন’র বাইরে কারওয়ান বাজারের মত জায়গায় র‍্যাব-২ এবং ডিবি পুলিশ আমাকে ধরতে পারতো। তারা নিশ্চিত হয়েছে আমি এটার সঙ্গে জড়িত নই। সে জন্যে আমি অফিসে ঢোকার অন্ততঃ চল্লিশ মিনিট পরে তারা ড্রাইভারকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ইচ্ছে করলেই অফিসার আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারতেন, ক্রেডিট নিতে পারতেন, আজকে পত্রিকার নিউজগুলো হতো অন্যরকম।

এর মধ্যে কিছু পথসাংবাদিক জুটে গেলো, তারা গরম খবরের আশায় আমাকে বারবার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করার সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সামনে আসার মুরোদ নেই, তাদের রংও আমার জানা নেই। আমার নিজের ফ্যান পেজই একটি বিশাল পত্রিকা, আমার খবর আমিই দেবো। তোমাদের জন্য দুঃখ লাগছে, ধান্দাটা ঠিক জমলোনা।

দশ বছর ধরে ড্রাইভারকে নিজের সন্তানের মতই দেখেছি, অথচ আমার মানসম্মান বিবেচনায় না রেখে সে জড়িয়ে পড়লো ভয়ঙ্কর ইয়াবা চক্রে। বিশ্বাসের নদীগুলো আস্তে আস্তে ড্রেনে রূপান্তরিত হয়েছে। এতোদিন হৃদয় দিয়ে ভেবেছি, এখন মাথা দিয়ে ভাববো। Thank You Officer And Troop’s ……….

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধন্যবাদ অফিসার অ্যান্ড ট্রুপস : আসিফ

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সিনেমার শ্যুটিং শেষে স্টুডিও থেকে এটিএন বাংলার প্রশাসনিক ভবনে গেলাম। ওখান থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিচে নেমে এসে গাড়িতে উঠলাম। স্টুডিও লাইট এবং প্রচন্ড গরমে দুর্বল লাগছিলো, গত কয়েক দিনের টানা রেকর্ডিংয়ে আমি ক্লান্ত। জ্যামের ভয়ে বাসায় না গিয়ে অফিসে চলে গেলাম। লাঞ্চ সেরে একটু রেস্ট নেবো। হঠাৎ মইনুল এসে বলে র‍্যাব, ডিবি পুলিশ নিচে, গাড়ির চাবি দিচ্ছে না।

নিচে নেমে দেখি আমার ড্রাইভার হাতকড়া পরিহিত, র‍্যাব-২ এবং গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবা গুনছে। ঘটনাটা মেলাতে পারছিলাম না, অফিসার জানালেন আমার ড্রাইভার ইয়াবা সেবন করে, পাশাপাশি ব্যবসাও করে। গত তিন /চার দিন ধরে তাকে তারা নজরদারীতে রেখেছে এবং চৌকস গোয়েন্দাদের একটি দল ক্রেতা হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলো। ড্রাইভারের সাম্প্রতিক গতিবিধি সন্দেহজনক আমার কাছেও মনে হয়েছে, এটা বাসায় ও অফিসে আগেই জানিয়েছি।

এটিএন’র বাইরে কারওয়ান বাজারের মত জায়গায় র‍্যাব-২ এবং ডিবি পুলিশ আমাকে ধরতে পারতো। তারা নিশ্চিত হয়েছে আমি এটার সঙ্গে জড়িত নই। সে জন্যে আমি অফিসে ঢোকার অন্ততঃ চল্লিশ মিনিট পরে তারা ড্রাইভারকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ইচ্ছে করলেই অফিসার আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারতেন, ক্রেডিট নিতে পারতেন, আজকে পত্রিকার নিউজগুলো হতো অন্যরকম।

এর মধ্যে কিছু পথসাংবাদিক জুটে গেলো, তারা গরম খবরের আশায় আমাকে বারবার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করার সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সামনে আসার মুরোদ নেই, তাদের রংও আমার জানা নেই। আমার নিজের ফ্যান পেজই একটি বিশাল পত্রিকা, আমার খবর আমিই দেবো। তোমাদের জন্য দুঃখ লাগছে, ধান্দাটা ঠিক জমলোনা।

দশ বছর ধরে ড্রাইভারকে নিজের সন্তানের মতই দেখেছি, অথচ আমার মানসম্মান বিবেচনায় না রেখে সে জড়িয়ে পড়লো ভয়ঙ্কর ইয়াবা চক্রে। বিশ্বাসের নদীগুলো আস্তে আস্তে ড্রেনে রূপান্তরিত হয়েছে। এতোদিন হৃদয় দিয়ে ভেবেছি, এখন মাথা দিয়ে ভাববো। Thank You Officer And Troop’s ……….