কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। এর আগে সকাল থেকে স্কুলের পাঠদান বয়কট করে তারা সমবেত হন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভৈরব উপজেলা শাখার উদ্যোগে এইসব কর্মসূচী পালিত হয়।

এতে ভৈরবের সকল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশ নেন। শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি আগামী ১৪ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশকে সফল করতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ উত্থাপিত ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী সংগঠনের নেওয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ রোববার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করেন ভৈরবের সকল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের এমপি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সমবেত হোন সেসব স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা চলমান ধর্মঘট, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি দ্বৈতনীতি পরিহার, শতকরা ৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি, শতকরা ২০ ভাগ বৈশাখি ভাতা প্রদান, বাড়ি ভাড়া বাবদ দেওয়া ৫০০ টাকার পরিবর্তে মানসম্মত ভাড়া প্রদান, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ইত্যাদির পক্ষে স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্তরের কড়ইতলা খোলামঞ্চে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি মো. পিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম রিপন, কামরুল আহসান পলাশ, রুপেশ ভট্টাচার্য, লিপি বেগম, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, আক্তারুজ্জামান, আজাহারুল ইসলাম, মোঃ লিয়াকত আলী প্রমুখ। এ সময় শিক্ষক নেতারা তাদের বক্তব্যে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা এ সময় মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের অবহেলা করে সুশিক্ষিত জাতি গঠনের স্বপ্নকে দু:স্বপ্ন বলে আখ্যায়িত করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকারের ৯ বছরের শাসনামলে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি না মেনে, তাদের সঙ্গে টালবাহানা করছেন। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং অমানবিক।

জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব উল্লেখ করে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, একটি কুচক্রী মহল প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে অবহিত না করে তাকে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছেন। যার কারণে তিনি দেশের অধিকাংশ শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ সম্পর্কে অবগত নন। এ সময় তারা সংবাদ মাধ্যমে যথাযথভাবে সংবাদ প্রচার করে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগত করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর