হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে অতিরিক্ত প্রায় ৪৫ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হওয়ায় চলতি মৌসুমেও লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন আলু চাষিরা। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে দাম নির্ধারণের পাশাপাশি রপ্তানিতে জোর দেয়ার দাবি কৃষক ও কৃষিবিদদের। তবে কৃষি সচিব জানান, সরকারিভাবে না কেনার কারণে মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব না।
প্রতিবছর আলু চাষাবাদে জমির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছর আলুর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টন।
গত বছরের শেষ সময়ে এসে আলুর বাজারে ধস নামে। গণমাধ্যমে উঠে আসে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিদের করুণ অবস্থার চিত্র। পণ্য বিক্রি করতে না পেরে অনেক চাষিই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত।
চলতি মৌসুমেও একই অবস্থা উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায়। এ বছরও লোকসান পুষিয়ে নেয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। বাড়তি উৎপাদনে বাজারে দাম কম বলে মনে করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এদিকে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে কৃষি সচিব বলেন, সরকারিভাবে না কেনার কারণে আলুর দাম নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
তবে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারকে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি কৃষিবিদদের।
কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম জানান, আলুর বাজার মূল্য ঠিক রাখতে রপ্তানির নতুন বাজার সৃষ্টি করা দরকার।