ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তিব্র শীতকে উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরী ও শ্রমিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে এই বোরো আবাদ শেষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত বোরো আবাদ কাজে ব্যস্ত সময় পার করে কৃষক। কয়েকজন কৃষক জানায়, শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার রোপণকৃত বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বীজ চারা সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। আর শ্রমিক সংকটের প্রভাবটা ছিল সবচেয়ে বেশি।

শ্রমিক প্রতি রোজ ৫০০ টাকা করে অথবা প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপন করতে ১৩শ থেকে ১৬০০ টাকা লেগেছে। তবে তেল ও সারের দাম কম থাকলে হয়তো চাষাবাদের খরচ পোষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। কৃষক রুবেল মিয়া জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে নিজেরাই বীজতলা তৈরী, জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপণ করছি। অপরদিকে শ্রমিক শাজাহান ফকির বলেন, এই শীতে জমিতে কাজ করে যদি ৫০০ টাকা মজুরি না পাই তাহলে সংসার চলবে কি করে। তাছাড়া বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়তি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় জাত ৭৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ২শত ২০ হেক্টর এবং হাইব্রীড ১ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা রয়েছে। এতে করে ৮৭ হাজার ৭শত ৮৯ মে:টন ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নান্দাইল কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। চলতি বোরো মৌসুমে নান্দাইলে ৪ হাজার মে: টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বিসিআইসির ১৩ জন ডিলার সহ উপজেলায় ১১৭ জন তালিকা ভূক্ত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক তারা সার সরবরাহ করে যাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নান্দাইলে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে

আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তিব্র শীতকে উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরী ও শ্রমিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে এই বোরো আবাদ শেষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। জানুয়ারির ১ম সপ্তাহ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত বোরো আবাদ কাজে ব্যস্ত সময় পার করে কৃষক। কয়েকজন কৃষক জানায়, শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার রোপণকৃত বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে বীজ চারা সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। আর শ্রমিক সংকটের প্রভাবটা ছিল সবচেয়ে বেশি।

শ্রমিক প্রতি রোজ ৫০০ টাকা করে অথবা প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপন করতে ১৩শ থেকে ১৬০০ টাকা লেগেছে। তবে তেল ও সারের দাম কম থাকলে হয়তো চাষাবাদের খরচ পোষিয়ে উঠা সম্ভব হবে। কৃষক রুবেল মিয়া জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে নিজেরাই বীজতলা তৈরী, জমি প্রস্তুত সহ চারা রোপণ করছি। অপরদিকে শ্রমিক শাজাহান ফকির বলেন, এই শীতে জমিতে কাজ করে যদি ৫০০ টাকা মজুরি না পাই তাহলে সংসার চলবে কি করে। তাছাড়া বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়তি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, ২২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় জাত ৭৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার ২শত ২০ হেক্টর এবং হাইব্রীড ১ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা রয়েছে। এতে করে ৮৭ হাজার ৭শত ৮৯ মে:টন ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নান্দাইল কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। চলতি বোরো মৌসুমে নান্দাইলে ৪ হাজার মে: টন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বিসিআইসির ১৩ জন ডিলার সহ উপজেলায় ১১৭ জন তালিকা ভূক্ত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক তারা সার সরবরাহ করে যাচ্ছেন।