আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় দেশে ৩০ লাখ গরু এবং ৬৯ লাখ ছাগল-ভেড়া কোরবানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সবটাই দেশীয় উৎস থেকে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি মায়ানমার থেকে গরু আমদানি শুরু হয়েছে। তাই ভারত থেকে গরু না এলেও, এবার কোরবানির পশুর সংকট হবে না বলে আশা করছে সরকার।
অভ্যন্তরীণভাবে কোরবানির পশু সরবরাহের এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন,এবারের ঈদে পশু কোরবানির চাহিদার তুলনায় সরবরাহের প্রস্তুতি অনেক ভাল। কোরবানির জন্য ৪০ লাখ গরু এবং ৬৯ লাখ ছাগল-ভেড়া সরবরাহের পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাজারে সুস্থ সবল ও হৃষ্টপুষ্ট পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মীরা ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে আগে থেকে এই প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ হওয়ার কারণে মায়ানমার থেকে গরু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে সেখান থেকে গরু আসতে শুরু করেছে।
আর ভারত থেকে গরু না এলেও, এবারের ঈদে কোরবানির পশু সংকটের কোনও আশংকা নেই বলে মনে করেন তিনি। বলেন, যে পরিমাণ পশু আমাদের মজুদ আছে, তার সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে-চাহিদার পুরোটাই পূরণ হবে বলে আশা করছি। দামও স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
নারায়ন চন্দ্র বলেন, ভারত সরকারের গরু রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে গরুর উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খামারীরা এতে লাভবান হবেন। তিনি বলেন, নিরাপদ গো-মাংসের অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পশু উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে দেশব্যাপী খামারী পর্যায়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মাস যাবৎ ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে দেশে গরু ও মহিষ মজুত আছে আড়াই কোটি। এর মধ্যে গাভী বা বকনা এক কোটি ২০ লাখ। বাকি এক কোটি ৩০ লাখ এঁড়ে ও দামড়া। এই এক কোটি ৩০ লাখের মধ্যে একবছর বয়সী গরু রয়েছে ৬৫ লাখ। বাকি ৬৫ লাখ কোরবানি করা যেতে পারে, তবে সব গরু বাজারে আসবে না।
৬৫ লাখের মধ্যে ৪০ লাখ গরু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এগুলো বাজারে তোলা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে মোট ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ২ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে ভেড়ার সংখ্যা ৩২ লাখ এবং ছাগল ২ কোটি ৫৬ লাখ। ছাগল-ভেড়া বছরে জবাইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকে এক কোটি ৩৮ লাখ। ৬৯ লাখ ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ছাগল, ভেড়ার চাহিদাও দেশীয় উৎপাদন থেকে পূরণ হয়। বাইরে থেকে আসে না। তবে অনেকে সৌখিনভাবে উট নিয়ে আসেন।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে নিষিদ্ধ ঔষধ স্টেরয়েড হরমোন ও ভেজাল দ্রব্যাদি মিশ্রনের মাধ্যমে যাতে কেউ গরু মোটাতাজাকরণ না করতে পারে, এ বিষয়ে সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। এ বিষয় নিয়মিত মনিটারিং করার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র-বাসস
সংবাদ শিরোনাম
চাহিদার তুলনায় মজুদ পর্যাপ্ত : ঈদে কোরবানির পশু সংকট হবে না
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১২:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
- ৩৮৮ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ