জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রী গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় আসামি হয়েছেন। রোববার মিরপুর থানায় গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন শাহাদত। জিডি করার কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার ওই গৃহকর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, এই ক্রিকেটার ও তার স্ত্রী তার উপর নির্যাতন চালাতেন।
উদ্ধারকৃত গৃহকর্মীর নাম হ্যাপি। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
খন্দকার মোজাম্মেল হক নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা বাদী হয়ে রবিবার দিবাগত রাতে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। শাহাদাতকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ।
মিরপুর থানার ওসি ভূইয়া মাহবুব হোসেন জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে, শাহাদাতকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
ওসি বলেন, “পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি এলাকায় ওই গৃহপরিচারিকাকে পাওয়ার পর সাংবাদিক খন্দকার মোজ্জাম্মেল হক প্রথমে পল্লবী থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে মিরপুর থানায় আনা হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক সালাম বলেন, ক্রিকেটার শাহাদত আজ রবিবার দুপুরের দিকে থানায় এসে কাজের মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে শাহাদত হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরে কেউ কথা বলেননি। একপর্যায়ে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।