ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাকিব খান চুপ আছেন এত কিছুর পরেও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ের কাবিননামা, অপুর বয়ান, ডিএনসিসিসির সালিশী বৈঠক, জয়ের ভবিষ্যৎসহ নানা ইস্যুতে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন শাকিব খান। কিন্তু এর মধ্যে একটিবারের জন্যও কোনো ইস্যুতে মুখ খুলেননি শাকিব। অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েই যেন ডুব মেরেছেন তিনি।

ভারতের হায়াদ্রাবাদে নোলকের শুটিংয়ে থাকা শাকিব দুয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কেবল ডিভোর্সের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু এর বাইরে কোনো কথাই বলেননি। অপুকে লেটার পাঠানোর পর থেকে দেশীয় গণমাধ্যমে রীতিমতো আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি মধ্যে একবার দেশে এসে ঘুরে গেলেও এ নিয়ে কারও মুখোমুখি হননি। দেশ ঘুরে গেছেন অনেকটা নিভৃতেই।

সর্বশেষ খবর হচ্ছে শাকিব আছেন ব্যাংককে। বিদ্যা সিনহা মীমের সঙ্গে আমি নেতা হবো সিনেমার একটি গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। ডিভোর্স লেটার পাঠানোর পর বিয়ে হয়েছে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। বিয়ের তারিখ নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। কাবিনের টাকা নিয়ে রয়েছে মত-দ্বিমত। ডিএনসিসির আপস বৈঠকের কথা বলেছে। এতো কিছুর পরও চুপ শাকিব। কিন্তু কেন মুখে কুলুপ এঁটে আছেন কিং খান?

ভেতরের খবর হচ্ছে শাকিব কোনো মতেই আর কথা বাড়াতে চাইছেন না। শাকিব খানের ইচ্ছা আইনগতভাবে যত দ্রুত সম্ভব অপুর বিষয়টি সুরাহা করতে। আর এক্ষেত্রে আপসের ন্যুন্যতম সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে শাকিবের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র। সেই সূত্রমতে মূলত অপু যেদিন বেসরকারি টিভির লাইভে এসে শাকিবের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন সেদিনই আসলে শাকিব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরে গণমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে শাকিব খানিকটা কৌশলের আশ্রয় নেন।

এদিকে  গণমাধ্যমের সঙ্গে অপু নিজেও শাকিবরে সঙ্গে কথাবলার বিষয়ে কখনোই পরিষ্কার করেননি। আসলে বিয়ের বিষয়টি সামনে আসার পরই মূলত শেষ হয়ে যায় এই দম্পতির গোপন সংসার। নিন্দুকের ভাষ্য গোপনীয়তাই নাকি ছিল এই সংসারের মূল। সেই গোপনীয়তাই যখন শেষ হয়ে গেছে, তখন শাকিব বিগড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক যদিও এ বিষয়ে সমাধান দিতে আগামী ১৫ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন এ দুই তারকাকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়ে অপু বিশ্বাস দাবি করছেন, শাকিব কারো প্ররোচনায় পরে এসব করছেন। তার ধারণা সময় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনকি তিনি এ বিষয়ে সমাধানের জন্য দুই পরিবারের কাছেও ধর্না দিচ্ছেন। সাহায্য চেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। অপুর দাবি তিনি বরাবরই চেয়েছেন শাকিব খানের ঘর করতে। সংসার করতে। তিনি কিছুতেই শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ চান না।

কিন্তু অপুর খুব বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানাচ্ছে কী এক অজ্ঞাত কারনে ভীষণ রকম আমুদে মুডেই আছেন অপু। প্রতিদিন জিমে যাচ্ছেন। ফ্যাশন হাউজের ইভেন্টে যাচ্ছেন, এমনকি নারায়নগঞ্জের ইভেন্টে পর্যন্ত ডান্স পারফর্ম করেছেন সম্প্রতি। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অপু যতই মানসিক বিপর্যস্ততার কথা বলুন না কেন, আদতে তিনি ততটা বিপর্যস্ত নন বলেই জানাচ্ছে তার বিস্বস্ত সূত্রগুলো। ফলে ধরে নেয়া যায়- হয় অপু বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিয়েছেন অথবা তার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে।

পাঠক কলাম বিভাগে প্রকাশিত মতামত একান্তই পাঠকের, তার জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিব খান চুপ আছেন এত কিছুর পরেও

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ের কাবিননামা, অপুর বয়ান, ডিএনসিসিসির সালিশী বৈঠক, জয়ের ভবিষ্যৎসহ নানা ইস্যুতে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন শাকিব খান। কিন্তু এর মধ্যে একটিবারের জন্যও কোনো ইস্যুতে মুখ খুলেননি শাকিব। অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েই যেন ডুব মেরেছেন তিনি।

ভারতের হায়াদ্রাবাদে নোলকের শুটিংয়ে থাকা শাকিব দুয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কেবল ডিভোর্সের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু এর বাইরে কোনো কথাই বলেননি। অপুকে লেটার পাঠানোর পর থেকে দেশীয় গণমাধ্যমে রীতিমতো আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি মধ্যে একবার দেশে এসে ঘুরে গেলেও এ নিয়ে কারও মুখোমুখি হননি। দেশ ঘুরে গেছেন অনেকটা নিভৃতেই।

সর্বশেষ খবর হচ্ছে শাকিব আছেন ব্যাংককে। বিদ্যা সিনহা মীমের সঙ্গে আমি নেতা হবো সিনেমার একটি গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। ডিভোর্স লেটার পাঠানোর পর বিয়ে হয়েছে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। বিয়ের তারিখ নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। কাবিনের টাকা নিয়ে রয়েছে মত-দ্বিমত। ডিএনসিসির আপস বৈঠকের কথা বলেছে। এতো কিছুর পরও চুপ শাকিব। কিন্তু কেন মুখে কুলুপ এঁটে আছেন কিং খান?

ভেতরের খবর হচ্ছে শাকিব কোনো মতেই আর কথা বাড়াতে চাইছেন না। শাকিব খানের ইচ্ছা আইনগতভাবে যত দ্রুত সম্ভব অপুর বিষয়টি সুরাহা করতে। আর এক্ষেত্রে আপসের ন্যুন্যতম সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে শাকিবের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র। সেই সূত্রমতে মূলত অপু যেদিন বেসরকারি টিভির লাইভে এসে শাকিবের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন সেদিনই আসলে শাকিব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরে গণমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ার চাপে শাকিব খানিকটা কৌশলের আশ্রয় নেন।

এদিকে  গণমাধ্যমের সঙ্গে অপু নিজেও শাকিবরে সঙ্গে কথাবলার বিষয়ে কখনোই পরিষ্কার করেননি। আসলে বিয়ের বিষয়টি সামনে আসার পরই মূলত শেষ হয়ে যায় এই দম্পতির গোপন সংসার। নিন্দুকের ভাষ্য গোপনীয়তাই নাকি ছিল এই সংসারের মূল। সেই গোপনীয়তাই যখন শেষ হয়ে গেছে, তখন শাকিব বিগড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক যদিও এ বিষয়ে সমাধান দিতে আগামী ১৫ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন এ দুই তারকাকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে ডিভোর্স লেটার হাতে পেয়ে অপু বিশ্বাস দাবি করছেন, শাকিব কারো প্ররোচনায় পরে এসব করছেন। তার ধারণা সময় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনকি তিনি এ বিষয়ে সমাধানের জন্য দুই পরিবারের কাছেও ধর্না দিচ্ছেন। সাহায্য চেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। অপুর দাবি তিনি বরাবরই চেয়েছেন শাকিব খানের ঘর করতে। সংসার করতে। তিনি কিছুতেই শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ চান না।

কিন্তু অপুর খুব বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানাচ্ছে কী এক অজ্ঞাত কারনে ভীষণ রকম আমুদে মুডেই আছেন অপু। প্রতিদিন জিমে যাচ্ছেন। ফ্যাশন হাউজের ইভেন্টে যাচ্ছেন, এমনকি নারায়নগঞ্জের ইভেন্টে পর্যন্ত ডান্স পারফর্ম করেছেন সম্প্রতি। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অপু যতই মানসিক বিপর্যস্ততার কথা বলুন না কেন, আদতে তিনি ততটা বিপর্যস্ত নন বলেই জানাচ্ছে তার বিস্বস্ত সূত্রগুলো। ফলে ধরে নেয়া যায়- হয় অপু বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিয়েছেন অথবা তার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে।

পাঠক কলাম বিভাগে প্রকাশিত মতামত একান্তই পাঠকের, তার জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়