ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতাল নয় যেন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৮৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাসপাতাল নয় এ যেন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

রোগীর আত্মীয়স্বজন, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রতিদিন সহস্রাধিক লোকের বিচরণ এ হাসপাতাল চত্বরে। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ৪৫-৫৫টি গরু ও ১৫-২০টি ছাগল অবাধে বিচরণ করলেও দেখার কেউ নেই।

সরজমিন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, দল বেঁধে অনেকগুলো গরু ও ছাগল অবাধে ঘোরাফেরা করছে ও ঘাস-লতাপাতা খাচ্ছে। যত্রতত্র পায়খানা-প্রস্রাব করার ফলে হাসপাতালের পরিবেশ দূষিত হয়ে হাসপাতালটি অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ছে। এজন্য অনেক রোগীকে নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

দেখে মনে হয় এ যেন হাসপাতাল নয়, গোচারণ ভূমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী জানান, হাসপাতাল চত্বরে অসংখ্য গরু-ছাগল অবাধে বিচরণ করে থাকে। কখনও কখনও হাসপাতালের ভিতরে এমনকি স্টাফদের কোয়ার্টারে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে।

আবার অনেক সময় দুষ্ট বড় ষাঁড় গরু রোগীকে গুঁতো দিয়ে অসুস্থ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কখনো কখনো বয়োবৃদ্ধ লোকেরা দুষ্ট ষাঁড় গরুর ভয়ে হাসপাতাল আঙিনায় ঢুকতে পারে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শিমুল তালুকদার জানান, হাসপাতাল চত্বরে অবাধে গরু-ছাগল বিচরণ করায় রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ সকলকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালের প্রাচীরের কিছু কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় ও জনবল সংকটের কারণে গরুর অবাধ বিচরণ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।

গরু-ছাগলের বিচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া হাসপাতালের পার্শ্বে অবস্থিত বাড়ির মালিকগণ একটু সচেতন হলে হাসপাতালটির পরিবেশ দূষিত হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাসপাতাল নয় যেন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে

আপডেট টাইম : ০৬:০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাসপাতাল নয় এ যেন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

রোগীর আত্মীয়স্বজন, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রতিদিন সহস্রাধিক লোকের বিচরণ এ হাসপাতাল চত্বরে। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ৪৫-৫৫টি গরু ও ১৫-২০টি ছাগল অবাধে বিচরণ করলেও দেখার কেউ নেই।

সরজমিন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, দল বেঁধে অনেকগুলো গরু ও ছাগল অবাধে ঘোরাফেরা করছে ও ঘাস-লতাপাতা খাচ্ছে। যত্রতত্র পায়খানা-প্রস্রাব করার ফলে হাসপাতালের পরিবেশ দূষিত হয়ে হাসপাতালটি অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ছে। এজন্য অনেক রোগীকে নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

দেখে মনে হয় এ যেন হাসপাতাল নয়, গোচারণ ভূমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী জানান, হাসপাতাল চত্বরে অসংখ্য গরু-ছাগল অবাধে বিচরণ করে থাকে। কখনও কখনও হাসপাতালের ভিতরে এমনকি স্টাফদের কোয়ার্টারে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে।

আবার অনেক সময় দুষ্ট বড় ষাঁড় গরু রোগীকে গুঁতো দিয়ে অসুস্থ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কখনো কখনো বয়োবৃদ্ধ লোকেরা দুষ্ট ষাঁড় গরুর ভয়ে হাসপাতাল আঙিনায় ঢুকতে পারে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শিমুল তালুকদার জানান, হাসপাতাল চত্বরে অবাধে গরু-ছাগল বিচরণ করায় রোগী, ডাক্তার, নার্সসহ সকলকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালের প্রাচীরের কিছু কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় ও জনবল সংকটের কারণে গরুর অবাধ বিচরণ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।

গরু-ছাগলের বিচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া হাসপাতালের পার্শ্বে অবস্থিত বাড়ির মালিকগণ একটু সচেতন হলে হাসপাতালটির পরিবেশ দূষিত হবে না।