হাওর বার্তা ডেস্কঃ লো ক্যালোরি, প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ ডাবের পানি এক অত্যন্ত কার্যকর পানীয়। গরমের দিনে এ পানি তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং ডায়াবেটিস ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান।
ডাবের পানি পান করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে আরো বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যায়। দিনে যে কোনো সময় ডাবের তাজা পানি পান করলে ভালো বোধ করবেন আপনি। তবে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এ পানি পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ ফল বয়ে আনবে। আসুন ডাবের পানি পানের উৎকৃষ্ট সময় সম্পর্কে জেনে নিই-
সকালে খালি পেটে
সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পানের অনেক উপকারিতা। ডাবের পানিতে থাকা লোরিক অ্যাসিড আপনার হজমে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়। গর্ভবতী নারীদের ডিহাইড্রেশন ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ডাবের পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা গর্ভবতীদের সকালের অসুস্থতা ও অম্বল থেকে মুক্তি দেয়।
কাজের আগে ও পরে
ডাবের পানি সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক পানীয়। এটি শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ও কাজের শক্তি যোগায়। এ পানি কাজের সময় শরীর থেকে হারানো ইলেক্ট্রলাইট আবার পূর্ণ করে দেয় এবং ক্লান্তি ও অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
খাওয়ার আগে ও পরে
খাওয়ার আগে এক গ্লাস ডাবের সতেজ পানি পান আপনাকে পরিপূর্ণতা দেবে ও অতিরিক্ত আহার প্রতিরোধ করবে। ডাবের পানিতে কম ক্যালোরি থাকায় এটি পাকস্থলির জন্য সহনীয়। এ পান দ্রুত হজমে সহায়তা করে ও খাবার পর পেটে গ্যাস হতে দেয় না। প্রতিদিন খাবার আগে ডাবের পানি পান করলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে ও বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত রাখে।
ঘুমানো আগে
ডাবের পানির মিষ্টি ঘ্রাণের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব আছে, যা হতাশা দূর করতে সাহায্য করে ও হৃদস্পন্দনকে ধীর রাখে। ঘুমানোর আগে ডাবের পানি পান শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্র বের করে দেয়, প্রসাবের সংক্রমণ ও কিডনি সম্যা দূর করে এবং প্রসাব স্বাভাবিক রাখে।
তীব্র শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে
তীব্র শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে এক গ্লাস ডাবের পানি হতে পারে সেরা দাওয়াই। অ্যালকোহল পানের পর আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা পরের দিন সকালে মাথাব্যথা ও বিবমিষা তৈরি করতে পারে। ডাবের পানি এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনাকে সুস্থতা দিতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।