ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পার্টির আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কজন মনোনয়ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কজন মনোনয়ন-প্রত্যাশী মাঠে আছেন যারা বয়সে তরুণ হলেও তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ বহন করছেন। তাদের বেশির ভাগ নিজ নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন নিজের প্রত্যাশিত এলাকায়। এসব তরুণ রাজনীতিক বেশ আলোচিত নারায়ণগঞ্জে। আসুন দেখে নিই নারায়ণগঞ্জের ১০ আলোচিত তরুণ মনোনয়ন-প্রত্যাশীর আগাম নির্বাচনী তৎপরতা।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া নিয়মিত জনসংযোগ করছেন। একই সঙ্গে তিনি জেলা বিএনপির সদস্যপদে রয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক। একসময় দেশের শীর্ষ ধনীদের একজন ছিলেন গুলবক্স ভুইয়া। তার নাতি এই তরুণ রাজনীতিক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশী ছিলেন। তবে ওই নির্বাচন বয়কট করে তার দল।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল পারভেজ। তরুণ এই রাজনীতিকও এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর প্রতি ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন ইকবাল পারভেজের দিকে।

এ আসনে বিএনপির তরুণ মনোনয়ন-প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে। এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা তার দিকে বেশ ঝুঁকে আছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছেন এ আসনে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে  মনোনয়ন-প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এইচ এম মাসুদ দুলাল। তিনি এ আসন এলাকায় নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

একই আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন-প্রত্যাশী আরেক তরুণ নেতা কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু। সপ্তাহের দু-তিন দিন তিনি ও তার চিকিৎসক স্ত্রী ডা. এন কিউ মাহামুদা মনি সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প করে আলোচনায় আসছেন। বিরুর সঙ্গে নিয়মিত দেখা যায় জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে।

এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশী অনন্যা হুসেইন মৌসুমীও আছেন এই তুরণ দলে। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পালিতা কন্যা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে এ আসনে মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখানে মহাজোটের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দেন মৌসুমী। তিনি দাবি করছেন এবার আবার দলের মনোনয়ন চাইবেন। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে এখানে লাঙ্গলের প্রার্থী হবেন তিনি। মহাজোট অটুট থাকলেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে নিয়মিত এলাকায় জনসংযোগে করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

খোরশেদকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হলেও তিনি এ পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে তার ভূমিকা বেশ আলোচিত।

এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশা নিয়ে এলাকায় নিয়মিত সমাবেশ ও কর্মিসভা করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

নিজেরা সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণা কিংবা জনসংযোগে অংশ না নিলেও আরও দুজন তরুণ নেতার পক্ষে কাজ করছেন তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা। ফলে তারাও নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে বেশ আলোচিত। তাদের একজন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি রাজীব এখনো সরাসরি মনোনয়নের ঘোষণা দিয়ে তার পক্ষে জনসংযোগে নামেননি। তবে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকা-ে সক্রিয় তিনি। তার বলয়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় তার মনোনয়নের জন্য দাবি তুলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

একইভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সভা ও কর্মিসভা করে যাচ্ছেন তিনি। জেলা ছাত্রদলের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক ওই সময় থেকেই বেশ আলোচিত। তার পক্ষের নেতাকর্মীরাও তার মনোনয়নের দাবি তুলেছেন। তার আপন দুই ভাই নাদিম হাসান মিঠু ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কামরুল হাসান রোমেল শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাতীয় পার্টির আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কজন মনোনয়ন

আপডেট টাইম : ১২:৪৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কজন মনোনয়ন-প্রত্যাশী মাঠে আছেন যারা বয়সে তরুণ হলেও তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ বহন করছেন। তাদের বেশির ভাগ নিজ নিজ বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন নিজের প্রত্যাশিত এলাকায়। এসব তরুণ রাজনীতিক বেশ আলোচিত নারায়ণগঞ্জে। আসুন দেখে নিই নারায়ণগঞ্জের ১০ আলোচিত তরুণ মনোনয়ন-প্রত্যাশীর আগাম নির্বাচনী তৎপরতা।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া নিয়মিত জনসংযোগ করছেন। একই সঙ্গে তিনি জেলা বিএনপির সদস্যপদে রয়েছেন এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক। একসময় দেশের শীর্ষ ধনীদের একজন ছিলেন গুলবক্স ভুইয়া। তার নাতি এই তরুণ রাজনীতিক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন-প্রত্যাশী ছিলেন। তবে ওই নির্বাচন বয়কট করে তার দল।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল পারভেজ। তরুণ এই রাজনীতিকও এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর প্রতি ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন ইকবাল পারভেজের দিকে।

এ আসনে বিএনপির তরুণ মনোনয়ন-প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে। এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা তার দিকে বেশ ঝুঁকে আছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছেন এ আসনে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে  মনোনয়ন-প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এইচ এম মাসুদ দুলাল। তিনি এ আসন এলাকায় নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

একই আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন-প্রত্যাশী আরেক তরুণ নেতা কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু। সপ্তাহের দু-তিন দিন তিনি ও তার চিকিৎসক স্ত্রী ডা. এন কিউ মাহামুদা মনি সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প করে আলোচনায় আসছেন। বিরুর সঙ্গে নিয়মিত দেখা যায় জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে।

এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশী অনন্যা হুসেইন মৌসুমীও আছেন এই তুরণ দলে। তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পালিতা কন্যা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে এ আসনে মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখানে মহাজোটের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় যাতায়াত কমিয়ে দেন মৌসুমী। তিনি দাবি করছেন এবার আবার দলের মনোনয়ন চাইবেন। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে এখানে লাঙ্গলের প্রার্থী হবেন তিনি। মহাজোট অটুট থাকলেও তিনি মনোনয়ন চাইবেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে নিয়মিত এলাকায় জনসংযোগে করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

খোরশেদকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হলেও তিনি এ পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে তার ভূমিকা বেশ আলোচিত।

এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রত্যাশা নিয়ে এলাকায় নিয়মিত সমাবেশ ও কর্মিসভা করে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

নিজেরা সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণা কিংবা জনসংযোগে অংশ না নিলেও আরও দুজন তরুণ নেতার পক্ষে কাজ করছেন তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা। ফলে তারাও নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে বেশ আলোচিত। তাদের একজন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক ভিপি রাজীব এখনো সরাসরি মনোনয়নের ঘোষণা দিয়ে তার পক্ষে জনসংযোগে নামেননি। তবে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকা-ে সক্রিয় তিনি। তার বলয়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় তার মনোনয়নের জন্য দাবি তুলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

একইভাবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সভা ও কর্মিসভা করে যাচ্ছেন তিনি। জেলা ছাত্রদলের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক ওই সময় থেকেই বেশ আলোচিত। তার পক্ষের নেতাকর্মীরাও তার মনোনয়নের দাবি তুলেছেন। তার আপন দুই ভাই নাদিম হাসান মিঠু ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কামরুল হাসান রোমেল শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।