ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় জৈব চাষ পদ্ধতিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় জৈব কৃষি নীতি শীর্ষক এক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের ১৭২টি দেশের মতো বাংলাদেশেও জৈব চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, বর্তমানে ৮৭টি দেশ জৈবনীতি ও জৈব মানদণ্ড অনুসরণ করে চাষাবাদ করে থাকে। জৈব কৃষি বর্তমান বিশ্বে এক অন্যতম আলোচিত অধ্যায় ও দ্রুত বিকাশমান খাত হিসেবে বিবেচিত।
গতকাল (২১ নভেম্বর) সকালে ‘জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬ : প্রত্যাশা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ও ফার্মগেট কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী, সাবেক ইরি প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, বিশিষ্ট কৃষি বিশেষজ্ঞ আহসান উল্লাহ, কামরুজ্জামান মৃধা, আতাউর রহমান, সুরাইয়া বেগম, কাকলী খান, কোহিনূর ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে ‘জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬ : প্রত্যাশা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআই’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খোরশেদ আলম।

সেমিনারে মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। মোট কর্মসংস্থানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল। তাই, কৃষিকে সামনে রেখেই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

আদি যুগ থেকেই জৈব কৃষি প্রচলন ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি পণ্যের রপ্তানিতে সব বাধা দূর করে বিশ্ব বাজারে স্থান করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ যুগোপযোগী কৃষিনীতি এবং জাতীয় জৈব কৃষিনীতি প্রণয়ন করা এবং উৎপাদন ঠিক রেখে জৈব কৃষির পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬: সম্পর্কে কৃষকদের আরো সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা চালাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

সেমিনারে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় জৈব চাষ পদ্ধতিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার আহ্বান

আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় জৈব কৃষি নীতি শীর্ষক এক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের ১৭২টি দেশের মতো বাংলাদেশেও জৈব চাষাবাদ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, বর্তমানে ৮৭টি দেশ জৈবনীতি ও জৈব মানদণ্ড অনুসরণ করে চাষাবাদ করে থাকে। জৈব কৃষি বর্তমান বিশ্বে এক অন্যতম আলোচিত অধ্যায় ও দ্রুত বিকাশমান খাত হিসেবে বিবেচিত।
গতকাল (২১ নভেম্বর) সকালে ‘জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬ : প্রত্যাশা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ও ফার্মগেট কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী, সাবেক ইরি প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, বিশিষ্ট কৃষি বিশেষজ্ঞ আহসান উল্লাহ, কামরুজ্জামান মৃধা, আতাউর রহমান, সুরাইয়া বেগম, কাকলী খান, কোহিনূর ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে ‘জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬ : প্রত্যাশা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআই’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খোরশেদ আলম।

সেমিনারে মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি। মোট কর্মসংস্থানের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল। তাই, কৃষিকে সামনে রেখেই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

আদি যুগ থেকেই জৈব কৃষি প্রচলন ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি পণ্যের রপ্তানিতে সব বাধা দূর করে বিশ্ব বাজারে স্থান করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ যুগোপযোগী কৃষিনীতি এবং জাতীয় জৈব কৃষিনীতি প্রণয়ন করা এবং উৎপাদন ঠিক রেখে জৈব কৃষির পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জাতীয় জৈব কৃষি নীতি-২০১৬: সম্পর্কে কৃষকদের আরো সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণা চালাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

সেমিনারে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।