হাওর বার্তা ডেস্কঃ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি নিশ্চিত করেছেন আসছে আগামী বুধবারের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন ও দেশটির স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
দুই সপ্তাহ আগে অনেকটা হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি। তার এই আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতি অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। বিষয়টির একটা সুরাহার জন্য গতকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্যারিসেই তিনি বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে আমি বৈরুতে ফিরব। আমি আমাদের স্বাধীনতার উৎসবে অংশ নেব আর সেখানেই সার্বিক পরিস্থিতিতে আমি আমার অবস্থান সবার সামনে তুলে ধরব।’
২২ নভেম্বর লেবাননে স্বাধীনতা দিবস উৎদযাপিত হবে।
তার আগে শনিবার হারিরির দেশে ফেরার কথা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল অন ও সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি।
অনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গতকাল প্যারিসে পৌঁছানোর পর হারিরি প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিত থাকার কথা জানান।
নিজের ফেসবুক পেজেও প্রায় একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন বেরি।
নভেম্বরের ৪ তারিখে সৌদি আরবের রিয়াদে পৌঁছানোর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি।
এরপর থেকে তিনি দেশে যাননি এবং গতকাল প্যারিস সফরই ছিল পদত্যাগের ঘোষণার পর তার প্রথম সৌদির বাইরে সফর।
হারিরির পক্ষের লোকেদের সঙ্গে সঙ্গে তার বিরোধীরাও চেয়েছেন তিনি যেনর দেশে ফিরে আসেন ও তার পদত্যাগের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
সৌদির ভূমিকা
গত বুধবার অন অভিযোগ করেছিলেন হারিরিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রেখেছে সৌদি। একই মত ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহরও। হিজবুল্লাহ লেবাননেন শাসকগোষ্ঠীর একটি অংশও।
হারিরি তার পদত্যাগের ঘোষণায় হিজবুল্লাহর নিন্দা জানিয়েছিলেন। কিন্তু হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসিরুল্লাহ মনে করেন জোর করে তার কাছ থেকে এই বিবৃতি নেয়া হয়েছে।
হারিরির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবদেনে অভিযোগ করা হয়, লেবাননের রাজনীতিতে ইরান ও হিজবুল্লাহর প্রভাব অস্বীকারের জন্য সৌদি তাকে আটকে রেখেছিল।
গত শুক্রবার লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিব্রান বাসিল কারো নাম উল্লেখ না করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য কয়েকজনের সমালোচনা করেন। এ পরিস্থিতির জন্য সন্দেহভাজনরা কেবল লেবাননের রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সৌদি হস্তক্ষেপ করেছে- জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে এমন অভিযোগ শোনার পর চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জার্মানিতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায় সৌদি।
সৌদি তাকে আটকে রেখেছে- এমন অভিযোগ অবশ্য পরে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই উড়িয়ে দেন হারিরি।