ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁপে চাষে লাখপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য কাঁচা পেঁপে। থোকার মাঝে মাঝে দু’চারটি পাকা পেঁপেও ঝুলছে। গত দু’মাস ধরে গাছ থেকে পেঁপে তুলে বিক্রি করলেও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছে না। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চর আলীনগর গ্রামের রবিন ভূঁইয়া তার ৫০ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন এই পেঁপে বাগান। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে তোলা পেঁপে বাগান থেকে ইতিমধ্যেই দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা হয়েছে। আরো দুই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন রবিন ভূঁইয়া। এতে করে এক বছরে খরচ বাদে তার লাভ হবে তিন লাখ টাকা। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছে। রবিন ভূঁইয়া জানান, গত তিন বছর পূর্বে বাড়ির পাশে ২০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চারা রোপণ করেন। চারাগুলো বড় হয়ে গাছে প্রচুর ফলন দিলে তার আশা জাগে বাগানটি আরো বড় করার। তিনি আরো ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চারা রোপন করেন। চারা রোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যা ও সার-সেচ দেওয়ায় প্রতিটি গাছে ফলন আসে ৫০-৬০টির অধিক পেঁপে। পরিপূর্ণ অবস্থায় প্রতিটি পেঁপের ওজন হয় প্রায় তিন কেজি। স্থানীয় অনেক পাইকার ব্যবসায়ী তার বাগান থেকে কাঁচা ও পাকা পেঁপে নিতে আসে। রবিন ভূইয়া বলেন, চারা লাগানোর তিন মাসের মাথায় গাছে ফল ধরলেও তা ছিঁড়ে দেই। পরে আবারও ফল ধরলে আট মাসের মাথায় গাছ থেকে পেঁপে তোলা শুরু করি। এরই মধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। কিছুদিন থেকে গাছেই পেঁপে পাকিয়ে বিক্রি করছি। বাজারে কাঁচা পেঁপের চাইতে পাকা পেঁপের চাহিদা বেশি। দামও বেশ ভালো। আশা করছি আরো দুই লাখ টাকার মতো পেঁপে বিক্রি করতে পারব। চরসিংন্দুর ইউনিয়নের উপ-কৃষি অফিসার শাহ নেওয়াজ জানান, অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে পেঁপে চাষ করতে হয়। সাধারণত এসব জমিতে ধান চাষ হয় না। গ্রামের মানুষরা এসব জমি ধানের বীজতলা অথবা শাক-সবজি আবাদের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এতে লাভ হয় খুব কম। অথচ ওই জমিতে পেঁপে চাষ করলে বছরে এক বিঘা জমি থেকে লাখ টাকা অনায়াসে আয় করা যায়। কৃষক রবিন ভূইয়ার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই এখন পেঁপে চাষে ঝুকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, পেঁপে দ্রুত পচনশীল না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এটি অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারে। বাজারে পেঁপের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবছর উপজেলার ৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ নিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পেঁপে চাষে লাখপতি

আপডেট টাইম : ০৪:৩২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য কাঁচা পেঁপে। থোকার মাঝে মাঝে দু’চারটি পাকা পেঁপেও ঝুলছে। গত দু’মাস ধরে গাছ থেকে পেঁপে তুলে বিক্রি করলেও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছে না। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চর আলীনগর গ্রামের রবিন ভূঁইয়া তার ৫০ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন এই পেঁপে বাগান। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে তোলা পেঁপে বাগান থেকে ইতিমধ্যেই দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা হয়েছে। আরো দুই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন রবিন ভূঁইয়া। এতে করে এক বছরে খরচ বাদে তার লাভ হবে তিন লাখ টাকা। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছে। রবিন ভূঁইয়া জানান, গত তিন বছর পূর্বে বাড়ির পাশে ২০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চারা রোপণ করেন। চারাগুলো বড় হয়ে গাছে প্রচুর ফলন দিলে তার আশা জাগে বাগানটি আরো বড় করার। তিনি আরো ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চারা রোপন করেন। চারা রোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যা ও সার-সেচ দেওয়ায় প্রতিটি গাছে ফলন আসে ৫০-৬০টির অধিক পেঁপে। পরিপূর্ণ অবস্থায় প্রতিটি পেঁপের ওজন হয় প্রায় তিন কেজি। স্থানীয় অনেক পাইকার ব্যবসায়ী তার বাগান থেকে কাঁচা ও পাকা পেঁপে নিতে আসে। রবিন ভূইয়া বলেন, চারা লাগানোর তিন মাসের মাথায় গাছে ফল ধরলেও তা ছিঁড়ে দেই। পরে আবারও ফল ধরলে আট মাসের মাথায় গাছ থেকে পেঁপে তোলা শুরু করি। এরই মধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। কিছুদিন থেকে গাছেই পেঁপে পাকিয়ে বিক্রি করছি। বাজারে কাঁচা পেঁপের চাইতে পাকা পেঁপের চাহিদা বেশি। দামও বেশ ভালো। আশা করছি আরো দুই লাখ টাকার মতো পেঁপে বিক্রি করতে পারব। চরসিংন্দুর ইউনিয়নের উপ-কৃষি অফিসার শাহ নেওয়াজ জানান, অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে পেঁপে চাষ করতে হয়। সাধারণত এসব জমিতে ধান চাষ হয় না। গ্রামের মানুষরা এসব জমি ধানের বীজতলা অথবা শাক-সবজি আবাদের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এতে লাভ হয় খুব কম। অথচ ওই জমিতে পেঁপে চাষ করলে বছরে এক বিঘা জমি থেকে লাখ টাকা অনায়াসে আয় করা যায়। কৃষক রবিন ভূইয়ার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই এখন পেঁপে চাষে ঝুকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, পেঁপে দ্রুত পচনশীল না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এটি অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারে। বাজারে পেঁপের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবছর উপজেলার ৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ নিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করছেন।