ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহের হ্যাটট্রিক শিরোপা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভিজ্ঞতা কী জিনিস সেটা দেখিয়ে দিল ময়মনসিংহ জেলা দলের মেয়েরা। প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েরা জেএফএ কাপের ফাইনালে দুর্বার গতিতে দুর্দান্ত খেলল। ঠাকুরগাঁও জেলা দলের রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপরীতে ময়মনসিংহ খেলল আক্রমণাত্মক। তাতে জেএফএ কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে ময়মনসিংহ জেলা দল।

আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ঠাকুরগাঁও জেলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা দল। এমন জয়ে ময়মনসিংহের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রোজিনা আক্তার। অপর গোলটি করেছেন শামসুন্নাহার।

টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহকে ৫০ হাজার ও রানার্স-আপ দল ঠাকুরগাঁও কে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলরক্ষক, সেরা রক্ষণভাগ, সেরা মিডফিল্ড ও সেরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।

টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সাগরিকা। সেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার তানিয়া। সেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন ঠাকুরগাঁও এর সহ-অধিনায়ক বিথিকা কিসকু। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ময়মনসিংহের রোজিনা আক্তার (১৪ গোল)। সেরা স্ট্রাইকার হয়েছেন ময়মনসিংহের সালমা খাতুন। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে সেমিফাইনালিস্ট টাঙ্গাইল জেলা দল।

ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর (হেড অব স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইং এর চেয়ারম্যান মিস মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যান্যরা।

এবারই প্রথম ফাইনালে এসেছে ঠাকুরগাঁও জেলা। তাদের সমর্থন দিতে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও এর বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার ও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মাঠে হাজির হয়। ব্যান্ড বাজিয়ে, উল্লাস করে, গলা ফাটিয়ে গ্যালারি থেকে দলকে সমর্থন জানায় তারা। কিন্তু ম্যাচের ৯ মিনিটেই পিছিয়ে পরে ঠাকুরগাঁও। এ সময় ময়মনসিংহের রোজিনা আক্তার গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ১৬ মিনিটের মাথায় রোজিনা তার জোড়া গোল পূর্ণ করে দলকে এগিয়ে নেয় ২-০ ব্যবধানে। ২ গোলে পিছিয়ে পরে ঠাকুরগাঁও এর মেয়েরা রক্ষণাত্মক কৌশলে এগোতে থাকে। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ময়মনসিংহের শামসুন্নাহার গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন। তাকে গোলে সহায়তা করেন আমেনা আক্তার। তাতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ময়মনসিংহ।

বিরতির পর উভয় দল বেশ কিছু আক্রমণ শানালেও তার কোনোটিই জালের নাগায় পায়নি। ফলে ৩-০ ব্যবধানের জয় পাওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ময়মনসিংহ জেলা দল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহের হ্যাটট্রিক শিরোপা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভিজ্ঞতা কী জিনিস সেটা দেখিয়ে দিল ময়মনসিংহ জেলা দলের মেয়েরা। প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়েরা জেএফএ কাপের ফাইনালে দুর্বার গতিতে দুর্দান্ত খেলল। ঠাকুরগাঁও জেলা দলের রক্ষণাত্মক কৌশলের বিপরীতে ময়মনসিংহ খেলল আক্রমণাত্মক। তাতে জেএফএ কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তুলেছে ময়মনসিংহ জেলা দল।

আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ঠাকুরগাঁও জেলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা দল। এমন জয়ে ময়মনসিংহের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রোজিনা আক্তার। অপর গোলটি করেছেন শামসুন্নাহার।

টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ময়মনসিংহকে ৫০ হাজার ও রানার্স-আপ দল ঠাকুরগাঁও কে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলরক্ষক, সেরা রক্ষণভাগ, সেরা মিডফিল্ড ও সেরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।

টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সাগরিকা। সেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার তানিয়া। সেরা মিডফিল্ডার হয়েছেন ঠাকুরগাঁও এর সহ-অধিনায়ক বিথিকা কিসকু। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ময়মনসিংহের রোজিনা আক্তার (১৪ গোল)। সেরা স্ট্রাইকার হয়েছেন ময়মনসিংহের সালমা খাতুন। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে সেমিফাইনালিস্ট টাঙ্গাইল জেলা দল।

ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর (হেড অব স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইং এর চেয়ারম্যান মিস মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যান্যরা।

এবারই প্রথম ফাইনালে এসেছে ঠাকুরগাঁও জেলা। তাদের সমর্থন দিতে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও এর বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার ও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে মাঠে হাজির হয়। ব্যান্ড বাজিয়ে, উল্লাস করে, গলা ফাটিয়ে গ্যালারি থেকে দলকে সমর্থন জানায় তারা। কিন্তু ম্যাচের ৯ মিনিটেই পিছিয়ে পরে ঠাকুরগাঁও। এ সময় ময়মনসিংহের রোজিনা আক্তার গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ১৬ মিনিটের মাথায় রোজিনা তার জোড়া গোল পূর্ণ করে দলকে এগিয়ে নেয় ২-০ ব্যবধানে। ২ গোলে পিছিয়ে পরে ঠাকুরগাঁও এর মেয়েরা রক্ষণাত্মক কৌশলে এগোতে থাকে। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ময়মনসিংহের শামসুন্নাহার গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন। তাকে গোলে সহায়তা করেন আমেনা আক্তার। তাতে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ময়মনসিংহ।

বিরতির পর উভয় দল বেশ কিছু আক্রমণ শানালেও তার কোনোটিই জালের নাগায় পায়নি। ফলে ৩-০ ব্যবধানের জয় পাওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ময়মনসিংহ জেলা দল।