শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ সময় শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে থাকা সমাধিতে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, হাফিজুর রহমান প্রমুখ ।
১৯৯০ সালের আজকের এই দিনে এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন। মিলনের আত্মদানের মধ্যদিয়ে সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হচ্ছে।
মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও স্বৈরাচারী এরশাদ একই নীতির লোক ছিলেন। উভয়ই রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ বীরের জাতি। তারা জীবন দিয়ে এদেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে বার বার রক্ষা করেছে।”
তিনি বলেন, “আজকের এই দিনে আমরা হত্যা, গুম-নির্যাতনমুক্ত একটা মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না। থাকবে সমতাভিত্তিক ন্যায়বিচার। গড়ে উঠবে ‘মানবিক বাংলাদেশ’, যা বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে পরিস্ফূট হয়েছে।”
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টকে চাই না। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করতে হবে। সব গুম ও খুনের বিচার করতে হবে। এমন একটি দেশ গড়তে হবে যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না। সবার ভয়েস শোনা হবে। ছেলে-মেয়েদের দেশত্যাগের তাড়না থাকবে না। গর্বের দেশ হবে।”
যাদের হাতে এখনো রক্ত লেগে আছে তাদের বিচার আগে হতে হবে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শিশু ও গণহত্যাকারীদের দেশে আনতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।”