ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

শেখ হাসিনার নামে নতুন সেনানিবাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তৈরি হচ্ছে নতুন একটি সেনানিবাস। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা আরও সুদৃঢ় করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তার জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীর কাছে লেবুখালীতে দেশের ৩১তম এ সেনানিবাস নির্মিত হবে।

এ জন্য ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।

গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রকল্প। ইতিমধ্যে একনেকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করবে ঢাকা সেনানিবাস।

পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম গতকাল হাওর বার্তাকে বলেন, একনেকের নোটিশ হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও আমি দেখিনি।

তবে এটুকু বলতে পারি তালিকায় থাকলে শেখ হাসিনা সোনানিবাস প্রকল্পটি অবশ্যই একনেকে উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সরকার ঘোষিত ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনানিবাস গড়ে তোলা হবে।

সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভেৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা প্রদান ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম, সুপ্রশিক্ষিত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়াতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত সহায়তা করতে পারবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে-  ৯৬৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা। এছাড়া ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৮ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৫১ হাজার ২৬৪ বর্গমিটারের ৮টি সর্বোচ্চ চারতলা পর্যন্ত অফিস ভবন নির্মাণ, ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৯ বর্গমিটারের ১২টি সর্বোচ্চ ১৪ তলা আবাসিক ভবন, ৯টি অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ, ৬২ হাজার ৮৯৯ বর্গমিটার আরসিসি বা বিটুমিনাস রোড তৈরি এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ বর্গমিটার সারফেস ড্রেন বা ডিসপোজাল ড্রেন তৈরি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শেখ হাসিনার নামে নতুন সেনানিবাস

আপডেট টাইম : ১১:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তৈরি হচ্ছে নতুন একটি সেনানিবাস। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা আরও সুদৃঢ় করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তার জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীর কাছে লেবুখালীতে দেশের ৩১তম এ সেনানিবাস নির্মিত হবে।

এ জন্য ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।

গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রকল্প। ইতিমধ্যে একনেকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করবে ঢাকা সেনানিবাস।

পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম গতকাল হাওর বার্তাকে বলেন, একনেকের নোটিশ হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও আমি দেখিনি।

তবে এটুকু বলতে পারি তালিকায় থাকলে শেখ হাসিনা সোনানিবাস প্রকল্পটি অবশ্যই একনেকে উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সরকার ঘোষিত ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনানিবাস গড়ে তোলা হবে।

সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভেৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা প্রদান ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম, সুপ্রশিক্ষিত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর কলেবর বাড়াতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত সহায়তা করতে পারবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে-  ৯৬৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা। এছাড়া ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৮ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৫১ হাজার ২৬৪ বর্গমিটারের ৮টি সর্বোচ্চ চারতলা পর্যন্ত অফিস ভবন নির্মাণ, ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৯ বর্গমিটারের ১২টি সর্বোচ্চ ১৪ তলা আবাসিক ভবন, ৯টি অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ, ৬২ হাজার ৮৯৯ বর্গমিটার আরসিসি বা বিটুমিনাস রোড তৈরি এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ বর্গমিটার সারফেস ড্রেন বা ডিসপোজাল ড্রেন তৈরি।