হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মান করে মো. শহিদুল ইসলাম হৃদয় নামের এক যুবলীগ নেতা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ফেস্টুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা লেখির মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে।
কাঠালিয়া উপজেলার পাটিকেলঘাটা ইউনিয়নের দত্তরপশুর গ্রামের মৃত. গোলাম গনি হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হৃদয় ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মো. শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের দেয়া ফেস্টুনে দেখা গেছে বাম পাশের প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এর পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রট এর ছবি। ডান পাশের প্রথমে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের ছবি দেয়া হয়েছে। আর এদের পরে রাখা হয়েছে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা লেখির মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে ওই যুবলীগ নেতা রাতের আধাঁরে ফেস্টুনগুলো খুলে নেয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিয়ম বহিরভূত কাজ করায় ওই যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানায় তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা মো. শহীদুল ইসলাম হৃদয় এর বাবা গোলাম গনি হাওলাদার ছিলেন মুসলীম লীগের স্থানীয় নেতা। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় এই শহীদুল ইসলাম হৃদয় ঢাকার মিরপুর এলাকার বিএনপির এক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ট সহযোগী থেকে ওখানকার ওয়ার্ড যুবদলের গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভোল পাল্টে যুবলীগ নেতা হন। মুলত তার কোন দল নেই, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের সাথে কাজ করেন বলেন দাবি কাঠালিয়ার আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমি যে ফেস্টুন করেছিলাম সেটা ওইটা না। আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ফেস্টুন টানিয়েছে। আমি খুঁজে বের করা চেষ্ঠা করেছি কারা এটা করেছে, না পেয়ে ঢাকায় একটি জিডি এন্টি করেছি।
যুবদলের রাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন,‘ কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে, আমি যুবদলের রাজনীতি করেছি তাকে এক কোটি টাকা দিব। আমি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম এর পরে যুবলীগের পদ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মাহামুদ হোসেন রিপন বলেন, ‘যুবলীগ নেতা শহিদুল বঙ্গবন্ধুর ছবির যে অসম্মান করেছেন এটা রাজনৈতিক সৃষ্টাচার বর্হিভুত। এজন্য তার বিচার হওয়া উচিত। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর নিন্দা জানাই।