ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটন শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান ও জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। গত এক বছরে এক কোটি পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছেন।

একজন পর্যটক ১১ জনের লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এক সময় আমাদের দেশের মানুষ পর্যটন বলতে বিদেশকে বুঝত। বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে পর্যটন সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ভালো পর্যটন কেন্দ্রকে মানুষ অন্তর দিয়ে অনুভব করে। শান্ত-স্বচ্ছ চিত্রানদীর পাড়ে গড়ে উঠা নড়াইল হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ইকোপার্ক ও প্রজাপতি পার্ক পর্যটন কেন্দ্রটি সবার দৃষ্টি কাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

আজ বেলা ১১টায় নড়াইলের হাটবাড়িযা জমিদারবাড়ি ইকোপার্কের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এদিকে ইকোপার্ক চত্বরে ‘পর্যটনের সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু, বৃহত্তর যশোর উন্নয়ন ও বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী শৈলেন্দ্রনাথ সাহা, অ্যাডভোকেট এসএ মতিন, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নারীনেত্রী আঞ্জুমান আরা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রানী বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল আরিফ।

জানা যায়, নড়াইল পৌর এলাকার হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়িতে প্রায় ২৩ একর জমির উপর এ পার্কটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, নড়াইলের পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় ৭৫ কোটি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ফ্যাসিবিলিটি প্লানের মাধ্যমে এ ইকোপার্কের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আগামী অর্থ বছরে এ পর্যটন কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পর্যটন শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান ও জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। গত এক বছরে এক কোটি পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছেন।

একজন পর্যটক ১১ জনের লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এক সময় আমাদের দেশের মানুষ পর্যটন বলতে বিদেশকে বুঝত। বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে পর্যটন সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ভালো পর্যটন কেন্দ্রকে মানুষ অন্তর দিয়ে অনুভব করে। শান্ত-স্বচ্ছ চিত্রানদীর পাড়ে গড়ে উঠা নড়াইল হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ইকোপার্ক ও প্রজাপতি পার্ক পর্যটন কেন্দ্রটি সবার দৃষ্টি কাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

আজ বেলা ১১টায় নড়াইলের হাটবাড়িযা জমিদারবাড়ি ইকোপার্কের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এদিকে ইকোপার্ক চত্বরে ‘পর্যটনের সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু, বৃহত্তর যশোর উন্নয়ন ও বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী শৈলেন্দ্রনাথ সাহা, অ্যাডভোকেট এসএ মতিন, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নারীনেত্রী আঞ্জুমান আরা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রানী বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল আরিফ।

জানা যায়, নড়াইল পৌর এলাকার হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়িতে প্রায় ২৩ একর জমির উপর এ পার্কটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, নড়াইলের পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় ৭৫ কোটি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ফ্যাসিবিলিটি প্লানের মাধ্যমে এ ইকোপার্কের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আগামী অর্থ বছরে এ পর্যটন কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দেন তিনি।