ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী বিএনপিতে মাত্র একজন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগেই অনেকে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে শুরু করেছেন। তবে এই প্রচারণা নির্বাচনের সময়ের মতো না হলেও তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। স্বঘোষিত প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এমনকি পরিচিত মহলেও নিজেদের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন।

এই প্রচারণার হাওয়া লেগেছে আওয়ামী লীগের দুর্গ খ্যাত খুলনা-১ আসন এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন বলেও এর পরিচিতি রয়েছে। খুলনা জেলার ভাঙনকবলিত বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় ৯৯ নম্বর এই আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন নেতা। মনোনয়নের জন্য দুই নেতা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, খুলনা-১ আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাইছেন এ আসনের বর্তমান এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন এবং সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। তিন প্রার্থীই আগামী নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন পঞ্চানন বিশ্বাস, এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয় ননী গোপাল মণ্ডলকে। ননী গোপাল মণ্ডল এক লাখ ২০ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবারো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন পঞ্চানন বিশ্বাস। তবে তিনি ননী গোপাল যে ভোট পেয়েছিলেন, তার অর্ধেক পরিমাণ ভোট পান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি মাত্র ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট পান। এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। নির্বাচনের আগে দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলেও নির্বাচিত হওয়ার পর দু’জনের বিরুদ্ধেই ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। আদালতে মামলাও দায়ের হয় একজনের বিরুদ্ধে।

ননী গোপাল মণ্ডল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগবাণিজ্য, খাসজমি দখল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধর, চোরাকারবারি ব্ল্যাকার সামশুর সঙ্গে সখ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়। এই মামলার ৭ আসামির মধ্যে তার পরিবারেরই তিন সদস্য রয়েছেন।

তবে এসব কিছুই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। তিনি বলেন, আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেন আমি আগামীতে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পাই সেই চেষ্টা করছে সবাই।
এদিকে বরাবরের মতো এই আসনে এবারো বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুদরতে আমির এজাজ খান। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ও প্রচারণায় রয়েছেন।

মানব কণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী বিএনপিতে মাত্র একজন

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগেই অনেকে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে শুরু করেছেন। তবে এই প্রচারণা নির্বাচনের সময়ের মতো না হলেও তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। স্বঘোষিত প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এমনকি পরিচিত মহলেও নিজেদের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন।

এই প্রচারণার হাওয়া লেগেছে আওয়ামী লীগের দুর্গ খ্যাত খুলনা-১ আসন এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন বলেও এর পরিচিতি রয়েছে। খুলনা জেলার ভাঙনকবলিত বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় ৯৯ নম্বর এই আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন নেতা। মনোনয়নের জন্য দুই নেতা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, খুলনা-১ আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাইছেন এ আসনের বর্তমান এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন এবং সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। তিন প্রার্থীই আগামী নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন পঞ্চানন বিশ্বাস, এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেয়া হয় ননী গোপাল মণ্ডলকে। ননী গোপাল মণ্ডল এক লাখ ২০ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আবারো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন পঞ্চানন বিশ্বাস। তবে তিনি ননী গোপাল যে ভোট পেয়েছিলেন, তার অর্ধেক পরিমাণ ভোট পান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি মাত্র ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট পান। এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। নির্বাচনের আগে দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলেও নির্বাচিত হওয়ার পর দু’জনের বিরুদ্ধেই ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। আদালতে মামলাও দায়ের হয় একজনের বিরুদ্ধে।

ননী গোপাল মণ্ডল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগবাণিজ্য, খাসজমি দখল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধর, চোরাকারবারি ব্ল্যাকার সামশুর সঙ্গে সখ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়। এই মামলার ৭ আসামির মধ্যে তার পরিবারেরই তিন সদস্য রয়েছেন।

তবে এসব কিছুই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল। তিনি বলেন, আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেন আমি আগামীতে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পাই সেই চেষ্টা করছে সবাই।
এদিকে বরাবরের মতো এই আসনে এবারো বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুদরতে আমির এজাজ খান। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ও প্রচারণায় রয়েছেন।

মানব কণ্ঠ