হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওরের জল টুইটুম্বুর থৈ থৈ চেহারা এখন আর নেই। হেমন্তে পানি নেমে গিয়ে ভেসে উঠেছে ধূ ধূ প্রান্তর। মাঝে মাঝে খাল বা নদীর অংশ ছাড়া বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জলভেজা ভাব।
নৌ-পথে চলতে চলতে দুই পাশের সদ্য জেগে উঠা মাটিতে নতুন প্রাণের স্পর্শ জাগিয়ে উদ্ভিদ ও শৈবালের দেখা মিলছে। বহুদূরের দিগন্তে ডানার রূপালি ঝিলিক দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এক ঝাঁক অতিথি পাখি।
প্যারি হাঁস আসা শুরু হইছে’,। বালি হাঁস প্রজাতির অতিথি পাখিদের হাওরের স্থানীয় মানুষ ‘প্যারী হাঁস’ নামে ডাকে। কোথায় কোথায় পাখিদের ঝাঁক দেখতে পাওয়া যাবে।
‘হাওরে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে’, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জ শহরে পৌঁছেই খবরটি জানতে পারি। হাওরের তিন উপজেলা (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনের এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানালেন, ‘এবার আগে-ভাগেই অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে বিশাল হাওরাঞ্চলের নানা স্পটে।’
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সারাদিন হাওরের বুকে অতিথি পাখিদের সাথে থাকার জন্য ভোরে কিশোরগঞ্জ থেকে তাড়াইল হয়ে ভেসে যাই হাওরের পানিতে। ইটনার চৌগাঙ্গা, বর্শিকুড়া, জয়সিদ্ধি আর মিঠামইনের চারিগ্রাম হয়ে সন্ধ্যার আগে নৌকা আমাদেরকে করিমগঞ্জের চামড়াবন্দরে নামিয়ে দেবে। কুয়াশা মোড়া সকালের সোনা রোদ ভেঙে আমাদের নৌকা এগিয়ে চলে হাওরের গভীরে।
রোদ স্পষ্ট হতেই দেখা যায় ছোট ছোট পাখির ঝাঁক। বিচিত্র তাদের কিচির-মিচির কুজন। অহনই সব পক্ষী আসে নাই। তার মতে, ভরা শীতে হাওরে এতো পাখি আসে যে, সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের শব্দে চারদিক গমগম করে।
ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর