ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না রব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ২১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সিরাজুল আলম খান-এর ১৪ দফা এবং প্রাসঙ্গিক অদলীয় সংগঠন ও রাজনীতি’ শীষক আলোচনার আয়োজন করে মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘গুন্ডামি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। হিটলার, মুসোলিনি, আইয়ুব-ইয়াহিয়া পারেনি। এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকবেন সেটা হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার একদিকে বলে নির্বাচনে আসো, আবার বলে আমরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবো।’

রব বলেন, ‘রাষ্ট্র মিছিল করতে দেয় না, মিটিং করতে দেয় না। রাষ্ট্র মানুষ খুন করে। অপহরণ এখন দুই প্রকার রাষ্ট্রীয় অপহরণ ও অর্থনৈতিক অপহরণ। এ সরকার হলো ডাকাত, সে নাগরিকের সম্পদ লুট করে। কোনো কোর্ট-কাচারিতে বিচার না করে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। ব্যাংকগুলো কীভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে। সব টাকা লুট করে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম করা হচ্ছে। বর্তমান ব্যবস্থা জনগণকে কৃতদাসে পরিণত করেছে।’

মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক বলেন, ‘এটা স্বাধীন দেশের উপযোগী সংবিধান হতে পারে না। সংসদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হলে গণঅভ্যুত্থান হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দল ও অদলীয় ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করতে না দিলে এখানে কেউ গণঅভ্যুত্থান ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার বা শাসক বদল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনার আইন-কানুন, বিধি-ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। এখানে আসলে জনগণের কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন ছিল মাত্র ২৫ দিন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিসমিল্লাহ থেকে শুরু করে খোদা হাফেজ পর্যন্ত এই সংবিধানে দুটি শব্দ ছাড়া আর কোথাও জনগণের মালিকানা বা অংশীদারিত্ব নেই।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সু চির সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। মিয়ানমারের সংবিধান বুঝতে হবে। সেই দেশ চালায় আর্মি। আপনি দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করতে গেছেন। এখানে জাতিসংঘকে কেন রাখেননি ? এখন যে মিয়ানমার উল্টো অভিযোগ করছে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারত, চীন, রাশিয়াকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আপনি একা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবেন না।’

অদলীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার পেশাভিত্তিক সংগঠন আছে। যাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো ধারণ করে না। দলীয় রাজনীতি পাশাপাশি অদলীয় পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব লাগবে। সংসদ যদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়, নির্বাচনীব্যবস্থা যদি দলীয় ও অদলীয় পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে তাহলে এখানে গণঅভ্যুত্থান কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’

এজন্য তিনি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রাদেশিক পরিষদ, স্ব-শাসিত উপজেলা ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন।

সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ হাসান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন হোসেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য তাসমিনা রানা, পেশাজীবী পরিষদের সমন্বয়ক ম রশীদ আহমেদ, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, নাভা মেহজাবিন রহমান প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না রব

আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সিরাজুল আলম খান-এর ১৪ দফা এবং প্রাসঙ্গিক অদলীয় সংগঠন ও রাজনীতি’ শীষক আলোচনার আয়োজন করে মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘গুন্ডামি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। হিটলার, মুসোলিনি, আইয়ুব-ইয়াহিয়া পারেনি। এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকবেন সেটা হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার একদিকে বলে নির্বাচনে আসো, আবার বলে আমরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবো।’

রব বলেন, ‘রাষ্ট্র মিছিল করতে দেয় না, মিটিং করতে দেয় না। রাষ্ট্র মানুষ খুন করে। অপহরণ এখন দুই প্রকার রাষ্ট্রীয় অপহরণ ও অর্থনৈতিক অপহরণ। এ সরকার হলো ডাকাত, সে নাগরিকের সম্পদ লুট করে। কোনো কোর্ট-কাচারিতে বিচার না করে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। ব্যাংকগুলো কীভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে। সব টাকা লুট করে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোম করা হচ্ছে। বর্তমান ব্যবস্থা জনগণকে কৃতদাসে পরিণত করেছে।’

মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক বলেন, ‘এটা স্বাধীন দেশের উপযোগী সংবিধান হতে পারে না। সংসদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হলে গণঅভ্যুত্থান হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দল ও অদলীয় ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব করতে না দিলে এখানে কেউ গণঅভ্যুত্থান ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার বা শাসক বদল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনার আইন-কানুন, বিধি-ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। এখানে আসলে জনগণের কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন ছিল মাত্র ২৫ দিন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিসমিল্লাহ থেকে শুরু করে খোদা হাফেজ পর্যন্ত এই সংবিধানে দুটি শব্দ ছাড়া আর কোথাও জনগণের মালিকানা বা অংশীদারিত্ব নেই।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সু চির সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। মিয়ানমারের সংবিধান বুঝতে হবে। সেই দেশ চালায় আর্মি। আপনি দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করতে গেছেন। এখানে জাতিসংঘকে কেন রাখেননি ? এখন যে মিয়ানমার উল্টো অভিযোগ করছে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারত, চীন, রাশিয়াকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আপনি একা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবেন না।’

অদলীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার পেশাভিত্তিক সংগঠন আছে। যাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো ধারণ করে না। দলীয় রাজনীতি পাশাপাশি অদলীয় পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব লাগবে। সংসদ যদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়, নির্বাচনীব্যবস্থা যদি দলীয় ও অদলীয় পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে তাহলে এখানে গণঅভ্যুত্থান কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’

এজন্য তিনি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রাদেশিক পরিষদ, স্ব-শাসিত উপজেলা ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন।

সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ হাসান শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন হোসেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য তাসমিনা রানা, পেশাজীবী পরিষদের সমন্বয়ক ম রশীদ আহমেদ, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, নাভা মেহজাবিন রহমান প্রমুখ।