ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্যের সন্ধানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অতিথি বা পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এ বছর অক্টোবর শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলের কাছের লেকটিতে প্রথম অতিথি পাখি আসতে দেখা গেছে বলে হাওর বার্তাকে জানান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।

তিনি জানান, এ সময় অতিথি পাখি ক্যাম্পাসে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে এ সময় প্রচুর পরিমাণে অতিথি পাখি হাওড় অঞ্চলগুলোতে আসতে থাকে। যে কারণে সেখানে খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হাওড় অঞ্চলে পাখি শিকার হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে পাখিরা। তাই খাবার ও নিরাপত্তার কারণে দেশীয় পাখিগুলো শীতের শুরুতেই আমাদের ক্যাম্পাসে আসতে থাকে।

অক্টোবরের শেষের দিকে প্রায় ১ হাজার পাখি এসেছে ক্যাম্পাসে। তার মধ্যে ৯৭% ছোট সরালি। ছোট সরালির অধিকাংশই হাওড় অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা  ও মেঘালয়  থেকে এসেছে। মার্চ মাসের দিকে গরমের আভাস পেলেই এরা চলে যাবে। বাকি ৩% পাখি দেশের বাইরে থেকে বিশেষ করে সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসে। এর মধ্যে অধিকাংশ বড় সরালি জাতীয় পাখি। ডিসেম্বরের

মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক অতিথি পাখি  আসে এ ক্যাম্পাসে।

সাধারণ দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি ডাঙ্গায় বা শুকনো স্থানে বা ডালে বসে বিশ্রাম নেয়। আরেক ধরনের পাখি পানিতে থাকে ও বিশ্রাম  নেয়। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়।

বর্তমানে ক্যাম্পাসে যে পাখিগুলো দেখা যাচ্ছে তার অধিকাংশ ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস। হাঁস জাতীয় ১০ প্রজাতির পাখি আমাদের ক্যাম্পাসে দেখা গেছে। তবে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ প্রজাতির হাঁস জাতীয় পাখি দেখা যায়। তার মধ্যে ল্যাঞ্জাহাঁস, বালি হাঁস ও ভূতিহাঁস প্রতি বছর ।

নুর আলম হিমেল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে

আপডেট টাইম : ০৩:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্যের সন্ধানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অতিথি বা পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে খ্যাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এ বছর অক্টোবর শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলের কাছের লেকটিতে প্রথম অতিথি পাখি আসতে দেখা গেছে বলে হাওর বার্তাকে জানান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।

তিনি জানান, এ সময় অতিথি পাখি ক্যাম্পাসে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে এ সময় প্রচুর পরিমাণে অতিথি পাখি হাওড় অঞ্চলগুলোতে আসতে থাকে। যে কারণে সেখানে খাদ্যের সংকট সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হাওড় অঞ্চলে পাখি শিকার হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে পাখিরা। তাই খাবার ও নিরাপত্তার কারণে দেশীয় পাখিগুলো শীতের শুরুতেই আমাদের ক্যাম্পাসে আসতে থাকে।

অক্টোবরের শেষের দিকে প্রায় ১ হাজার পাখি এসেছে ক্যাম্পাসে। তার মধ্যে ৯৭% ছোট সরালি। ছোট সরালির অধিকাংশই হাওড় অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা  ও মেঘালয়  থেকে এসেছে। মার্চ মাসের দিকে গরমের আভাস পেলেই এরা চলে যাবে। বাকি ৩% পাখি দেশের বাইরে থেকে বিশেষ করে সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসে। এর মধ্যে অধিকাংশ বড় সরালি জাতীয় পাখি। ডিসেম্বরের

মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক অতিথি পাখি  আসে এ ক্যাম্পাসে।

সাধারণ দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি ডাঙ্গায় বা শুকনো স্থানে বা ডালে বসে বিশ্রাম নেয়। আরেক ধরনের পাখি পানিতে থাকে ও বিশ্রাম  নেয়। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়।

বর্তমানে ক্যাম্পাসে যে পাখিগুলো দেখা যাচ্ছে তার অধিকাংশ ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস। হাঁস জাতীয় ১০ প্রজাতির পাখি আমাদের ক্যাম্পাসে দেখা গেছে। তবে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ প্রজাতির হাঁস জাতীয় পাখি দেখা যায়। তার মধ্যে ল্যাঞ্জাহাঁস, বালি হাঁস ও ভূতিহাঁস প্রতি বছর ।

নুর আলম হিমেল