ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। একটি সান্ত্বনার জয় পেতে শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে মরিয়া ছিলেন টাইগাররা। কিন্তু পচেফস্ট্রুমে হাশিম আমলা ও ‘কিলার’ মিলারের খুনে ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানের বড় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাকিব বাহিনী। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২২৪ রান সংগ্রহ করেন প্রোটিয়ারা। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে ভেঙে পড়েন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৯৮ রানে সাত উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও কিছুটা ঝড় তুলেছিলেন সৌম্য। ফাঙ্গিসোর বলে হেনড্রিকসের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৭ বলে ৬ চার ও এক ছয়ে ৪৪ করেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। টপ ও মিডল অর্ডারে আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি। সাকিব ও মুশফিক ২ রানে এবং ইমরুল ৬ ও সাব্বির ৫ রানে আউট হওয়ার পর ভরসা করার মতো কেউই ছিলেন না। মাহমুদউল্লাহ (২৪), সাইফউদ্দিন (২৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (১৩) ব্যাটে হারের ব্যবধান কমান টাইগাররা। প্রোটিয়াদের পক্ষে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন জেপি ডুমিনি ও অ্যারন ফাঙ্গিসো। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার হাশিম আমলা ও ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহ গড়েন প্রোটিয়ারা। তরুণ পেসার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকান মিলার। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ১০১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিলার। যেটা টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। যে ইনিংসে চারের চেয়ে ওভার বাউন্ডারিই বেশি হাঁকিয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হওয়া বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। সাতটি চারের বিপরীতে ৯টি ছয়ে সাজানো ছিল মিলারের ইনিংসটি! টি-টোয়েন্টিতে এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল আরেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের। রিচার্ড লেভি ৪৫ বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে করেছিলেন সেঞ্চুরিটি। এছাড়া সেঞ্চুরির খুব কাছেই চলে এসেছিলেন হাশিম আমলাও। শেষ পর্যন্ত তাকে ৮৫ রানে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ৫১ বলে ১১টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন আমলা। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। যদিও ৩৭ রানে স্বাগতিকদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে আর জেপি ডুমিনিকে বোল্ড করে টাইগার শিবিরকে উচ্ছ্বাসে ভাসান সাকিব আল হাসান। হাশিম আমলার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান তোলা মোসেলে করেন ৫ আর ডুমিনি করেন ৪ রান। দলীয় ৭৮ রানে সাইফউদ্দিনের বলে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন ভিলিয়ার্সও (২০)। কিন্তু মিলার ও আমলার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রানের পাগলা ঘোড়া ছোটানো প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে এভারেস্টচূড়ায়! বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব ৪ ওভার বোলিং করে ২২ রান দিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। সমান ওভারে সাইফউদ্দিন ৫৩ রানে নেন দুই উইকেট। প্রোটিয়াদের রান উৎসবের দিনে তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ৪১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে ৪৬, রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ৫১ এবং মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা

আপডেট টাইম : ০২:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। একটি সান্ত্বনার জয় পেতে শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে মরিয়া ছিলেন টাইগাররা। কিন্তু পচেফস্ট্রুমে হাশিম আমলা ও ‘কিলার’ মিলারের খুনে ব্যাটিংয়ে ৮৩ রানের বড় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাকিব বাহিনী। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২২৪ রান সংগ্রহ করেন প্রোটিয়ারা। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে ভেঙে পড়েন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৯৮ রানে সাত উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও কিছুটা ঝড় তুলেছিলেন সৌম্য। ফাঙ্গিসোর বলে হেনড্রিকসের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৭ বলে ৬ চার ও এক ছয়ে ৪৪ করেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। টপ ও মিডল অর্ডারে আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি। সাকিব ও মুশফিক ২ রানে এবং ইমরুল ৬ ও সাব্বির ৫ রানে আউট হওয়ার পর ভরসা করার মতো কেউই ছিলেন না। মাহমুদউল্লাহ (২৪), সাইফউদ্দিন (২৩) ও মেহেদী হাসান মিরাজের (১৩) ব্যাটে হারের ব্যবধান কমান টাইগাররা। প্রোটিয়াদের পক্ষে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন জেপি ডুমিনি ও অ্যারন ফাঙ্গিসো। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার হাশিম আমলা ও ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহ গড়েন প্রোটিয়ারা। তরুণ পেসার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে টানা ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকান মিলার। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ১০১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিলার। যেটা টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। যে ইনিংসে চারের চেয়ে ওভার বাউন্ডারিই বেশি হাঁকিয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হওয়া বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। সাতটি চারের বিপরীতে ৯টি ছয়ে সাজানো ছিল মিলারের ইনিংসটি! টি-টোয়েন্টিতে এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল আরেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের। রিচার্ড লেভি ৪৫ বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে করেছিলেন সেঞ্চুরিটি। এছাড়া সেঞ্চুরির খুব কাছেই চলে এসেছিলেন হাশিম আমলাও। শেষ পর্যন্ত তাকে ৮৫ রানে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ৫১ বলে ১১টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন আমলা। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। যদিও ৩৭ রানে স্বাগতিকদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে আর জেপি ডুমিনিকে বোল্ড করে টাইগার শিবিরকে উচ্ছ্বাসে ভাসান সাকিব আল হাসান। হাশিম আমলার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান তোলা মোসেলে করেন ৫ আর ডুমিনি করেন ৪ রান। দলীয় ৭৮ রানে সাইফউদ্দিনের বলে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন ভিলিয়ার্সও (২০)। কিন্তু মিলার ও আমলার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রানের পাগলা ঘোড়া ছোটানো প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে এভারেস্টচূড়ায়! বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব ৪ ওভার বোলিং করে ২২ রান দিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। সমান ওভারে সাইফউদ্দিন ৫৩ রানে নেন দুই উইকেট। প্রোটিয়াদের রান উৎসবের দিনে তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ৪১, মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে ৪৬, রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ৫১ এবং মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দেন।