হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতারা ফাঁসিতে ঝুলেছে, তারপরও জামায়াতের বিষ নামেনি বলে মন্তব্য করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘বিএনপির ঘাড়ে চড়ে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও তারা মাঠে নামতে চায়। এ জন্য এখন তারা সংগঠন গোছাচ্ছে। সময় এলে ছোবল মারবে।’
রাজধানীর তোপখানা রোডের ফেনী সমিতি মিলনায়তনে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দলটির ১১টি জেলা কমিটির দিনভর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতের এই অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিকে অতীতের চাইতেও বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘একবার ঘটি উল্টে দিতে পারলে সকল প্রকার প্রগতিশীলতার চিহ্ন মুছে ফেলবে তারা। এ জন্য ইন্দোনেশিয়ার মতো লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করবে না তারা। সামনে নির্বাচনের বছর, এ কারণেই আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ঐক্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আন্দোলন ও নির্বাচন করতে হবে তাদের।’
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টি সেই ধারাবাহিকতায় আশু ২১ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পার্টির কর্মীদের এ ব্যাপারে আরো গভীরভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। জনগণের মধ্যে সর্বপ্রকার উপায়ে ওই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
বিএনপির নির্বাচন কমিশনের সংলাপের বক্তব্যই আগামী দিনে তারা কী করতে চলেছে তার ইঙ্গিত দেয় বলে মন্তব্য করেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে কেঁদে-কেটে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের ভাবখানই এমন যে ‘তিনবার’ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে তার বিচার করা যাবে না।’
মেনন বলেন, ‘এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ ও কর্তৃত্বপরায়ণ করে তুলতে সাহায্য করছে। এসব বিচারকাজকে দীর্ঘায়িত করার যে কৌশল তারা নিয়েছে, সেটাই প্রমাণ করে যে তারা অপরাধ আড়াল করতে চায়। এই সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।’
পার্টির মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পাভেল ইসলাম, শরীফ শমসির। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান।