ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধুই শি জিনপিংয়ের কাছে সব ক্ষমতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ১৯তম কংগ্রেসে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নাম এবং তার রাজনৈতিক মতাদর্শ। আর এই সূত্রেই তার দুই প্রবাতপ্রতিম পূর্বসূরি, চীনের চেয়ারম্যান মাও দে জংয়ের এবং শীর্ষ নেতা দেং শিয়াওপিংয়ের স্তরে উন্নীত হলেন শি জিনপিং।

সিপিসি-র ১৯তম কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হওয়ার আগে এটাও স্পষ্ট হল যে, এই মুহূর্তে চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি শি জিনপিংই। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হংকং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের অধ্যাপক উইলি লাম বলেন, ‘শি এখন চাইলে সারা জীবনের জন্য সম্রাট হয়ে থাকতে পারেন। তার শরীর যত দিন সায় দেবে, চাইলে তত দিনই উনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।’

পার্টি কংগ্রেসের পরে পরিস্থিতি যা দাঁড়াল, তাতে ২০২২ সালে দ্বিতীয় দফার শাসন শেষ হওয়ার পরেও ইচ্ছে হলে ক্ষমতায় থাকতেই পারেন শি।

গত সপ্তাহে পার্টি কংগ্রেস শুরুর দিন ‘চীনের নিজস্ব সমাজতন্ত্রে’র বার্তা দিয়ে শি জিনপিং বলেন, চীনা ভাবধারার সমাজতন্ত্র থেকে একচুলও সরবেন না তিনি। সেটাই লিপিবদ্ধ হয়েছে সংবিধানে।

শি জিনপিং বলেন, ইউরোপীয় সমাজতন্ত্র যে আদর্শের পথে এগিয়েছিল, দীর্ঘমেয়াদে তা ব্যর্থ হয়েছে। তাই যে পথে চীনা সমাজতন্ত্র সাফল্য পেয়েছে, তাতেই আস্থা রাখার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট।

সেই সঙ্গেই দেশের নিরাপত্তার কথা বলে চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’কে আরও শক্তিশালী করেছেন। দুই হাজার ২৮০ জন প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হবে জিনপিংয়ের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ২৫ জন থাকবেন পলিটব্যুরোয়। এদের সাত জনকে নিয়ে আবার তৈরি হবে পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘অ্যাপেক্স সেভেন’।

চীনা রাজনীতি পর্যবেক্ষকের মতে, শি-এর এই প্রতিপত্তির অর্থ হলো, এখন থেকে তিনি অপ্রতিরোধ্য। তাকে অমান্য করলে সেটা হবে গোটা পার্টির বিরুদ্ধাচারণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শুধুই শি জিনপিংয়ের কাছে সব ক্ষমতা

আপডেট টাইম : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ১৯তম কংগ্রেসে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নাম এবং তার রাজনৈতিক মতাদর্শ। আর এই সূত্রেই তার দুই প্রবাতপ্রতিম পূর্বসূরি, চীনের চেয়ারম্যান মাও দে জংয়ের এবং শীর্ষ নেতা দেং শিয়াওপিংয়ের স্তরে উন্নীত হলেন শি জিনপিং।

সিপিসি-র ১৯তম কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হওয়ার আগে এটাও স্পষ্ট হল যে, এই মুহূর্তে চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি শি জিনপিংই। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হংকং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের অধ্যাপক উইলি লাম বলেন, ‘শি এখন চাইলে সারা জীবনের জন্য সম্রাট হয়ে থাকতে পারেন। তার শরীর যত দিন সায় দেবে, চাইলে তত দিনই উনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।’

পার্টি কংগ্রেসের পরে পরিস্থিতি যা দাঁড়াল, তাতে ২০২২ সালে দ্বিতীয় দফার শাসন শেষ হওয়ার পরেও ইচ্ছে হলে ক্ষমতায় থাকতেই পারেন শি।

গত সপ্তাহে পার্টি কংগ্রেস শুরুর দিন ‘চীনের নিজস্ব সমাজতন্ত্রে’র বার্তা দিয়ে শি জিনপিং বলেন, চীনা ভাবধারার সমাজতন্ত্র থেকে একচুলও সরবেন না তিনি। সেটাই লিপিবদ্ধ হয়েছে সংবিধানে।

শি জিনপিং বলেন, ইউরোপীয় সমাজতন্ত্র যে আদর্শের পথে এগিয়েছিল, দীর্ঘমেয়াদে তা ব্যর্থ হয়েছে। তাই যে পথে চীনা সমাজতন্ত্র সাফল্য পেয়েছে, তাতেই আস্থা রাখার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট।

সেই সঙ্গেই দেশের নিরাপত্তার কথা বলে চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’কে আরও শক্তিশালী করেছেন। দুই হাজার ২৮০ জন প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হবে জিনপিংয়ের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ২৫ জন থাকবেন পলিটব্যুরোয়। এদের সাত জনকে নিয়ে আবার তৈরি হবে পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘অ্যাপেক্স সেভেন’।

চীনা রাজনীতি পর্যবেক্ষকের মতে, শি-এর এই প্রতিপত্তির অর্থ হলো, এখন থেকে তিনি অপ্রতিরোধ্য। তাকে অমান্য করলে সেটা হবে গোটা পার্টির বিরুদ্ধাচারণ।