হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ হকি স্মরণীয় হয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক মানপ্রীত সিংয়ের। ১০ বছর পর হকিতে ‘এশিয়ার সেরা’ তাঁর দেশ, আর সেটি এই ঢাকাতেই। এশিয়া কাপের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরটাও অন্য রকম জায়গা নিয়েই থাকবে মানপ্রীতের হৃদয়ে।
মানপ্রীতের কণ্ঠে ঢাকার বন্দনাই, ‘ঢাকা আমাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। জাতীয় হকি দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছি বেশি দিন হয়নি। এটি আমার অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট। আগে কখনো ঢাকায় আসিনি। প্রথমবার এসেই চ্যাম্পিয়ন হলাম। আমি ঢাকার কাছে ঋণী হয়েই রইলাম। শহরটাকে আমার আজীবন মনে থাকবে। অবশ্যই আবার আসতে চাই এখানে।’
পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত এক গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন মানপ্রীত। কৃষক বাবা অনেক কষ্ট করতেন। তাঁর সামর্থ্য ছিল না জীবনের প্রাত্যহিক চাহিদা মিটিয়ে ছেলের হকি-স্বপ্নের ব্যয়ভার বহনের। কিন্তু মানপ্রীতের অদম্য ইচ্ছাই তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক বানিয়েছে।
ঢাকার বিজয়নগরের ফার্স হোটেলের নয়তলায় মানপ্রীতের কক্ষে বসেই কথা হচ্ছিল। ভারতীয় হকি তারকা সুযোগ পেয়ে কিছু কেনাকাটাও করেছেন। ঢাকার মতো ব্যস্ত একটি নগরীর মানুষ যে এতটা আন্তরিক, সেটি নাকি মাথাতেই ছিল না মানপ্রীতের, ‘ব্যস্ত নগরীর মানুষ একটু আত্মকেন্দ্রিক হয়। ঢাকার মানুষ কিন্তু তেমন নয়। তারা খুবই আন্তরিক। পুরো টুর্নামেন্টে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি। ফাইনালে জেতার পর তো স্টেডিয়াম থেকে বের হতে পারছিলাম না। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছিল। ছবি তুলছিল। সবাইকে মনে হচ্ছিল খুব আপন। ঢাকার একটা জিনিসই খারাপ লেগেছে, সেটা যানজট।’
যানের জট তো ঢাকার পুরোনো সমস্যা। সেই সমস্যা খুব সহজে সমাধানযোগ্য নয়। মানপ্রীত সেটি জানেনও। কিন্তু ১০ বছর পর ভারতের এশিয়া কাপ জয়ের এই শহরকে মানপ্রীত যানজটের শহর নয়, আন্তরিক ভালোবাসার এক শহর হিসেবেই চিরদিন মনে রাখবেন।