ঢালিউডের বরেণ্য নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের জন্মদিন ১৫ মে। বিছানায় কাটছে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত এ পরিচালকের ৫৮তম জন্মদিন।
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন খোকনের স্ত্রী জয় ইসলাম। তিনি জানান, এই মানুষটি এখন সম্পূর্ণ অচল। বেঁচে আছেন এটাই পরিবারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে তাকে নিয়ে বের হওয়ার পরিকল্পনা করছেন জয়।
জয় বলেন, ‘সরকার ও সবার সহযোগিতায় আমার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের কোনো চিকিৎসকই এই রোগ সারাতে পারবেন না। এখন ভরসা উপরওয়ালা। সবাই আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।’
ব্যক্তিগত জীবনে খোকন তিন সন্তানের জনক। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তার বাস।
মুখগহ্বরে মটর নিউরো ডিজিসে (এএলএস) আক্রান্ত শহীদুল ইসলাম খোকন দিন দিন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কতদিন বাঁচবেন তার নিশ্চয়তা নেই। খোকনের অসুস্থতায় এগিয়ে আসেন সরকারও। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খোকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় নেওয়া হয়। সেখানকার বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বলে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।
অক্টোবরের শেষ দিকে দেশে ফেরার পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ডা. আরেফিনের তত্ত্বাবধানে শহীদুল ইসলাম খোকনের পেটে অপারেশনের মাধ্যমে টিউব স্থাপন করা হয়। এ টিউব দিয়েই তিন ঘণ্টা পর পর তাকে খাওয়ানো হচ্ছে। এভাবেই অনিশ্চিত জীবন-যাপন করছেন এক সময়ের সাড়া জাগানো এই নির্মাতা।
চলচ্চিত্রের প্রতি অদম্য ভালবাসা থেকে ১৫ বছর আগে ‘পালাবি কোথায়’ চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় অর্থসঙ্কটের কারণে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের নিজ বাড়ি বিক্রি করে দেন খোকন। কিন্তু কাল্ট স্ট্যাটাস পাওয়া চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি।
‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’সহ দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন খোকন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। এরপর তিনি রুবেলকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান পতন’ প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমা।