ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

প্রথমবারের মতো ‌‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে প্রথমবারের মতো ‌‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন করা হচ্ছে আজ।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, সরকার ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ বছর ২২ অক্টোবর প্রথমবার দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, সাবধানে চালাব গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি। জনসাধারণকে সচেতন করতে এ দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সম্পর্কিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী দিবসটি খ-শ্রেণির মর্যাদাভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় আরো জানানো হয়, আধুনিক সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনার অন্যতম বিবেচ্য হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা। ২০১১-২০২০ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০ এর অনুসমর্থনকারী হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

২০০৮ সালে ৪৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় এবং এ সকল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৬৫ জন। সরকার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য যানবাহন মালিক ও চালক এবং পথচারী, যাত্রী ও জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত সভা, ওয়ার্কশপ ও জনসচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ফলে দুর্ঘটনার হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭ সালে আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৯৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।

দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মহাসড়ক এবং যানবাহন চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন সেক্টরে গুণগত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রী এবং ৮০ শতাংশ পণ্য মহাসড়ক পথে পরিবহন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, সরকার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য যানবাহন, মালিক, শ্রমিক, চালক, পথচারী, যাত্রী ও জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত সভা, ওয়ার্কশপ ও জনসচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ক্রোড় প্রকাশিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাইওয়ে রেঞ্জ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস টার্মিনালসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের ইন্টারসেকশনে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালসমূহ এবং জেলা পর্যায়ের প্রধান প্রধান টার্মিনালসমূহে সন্ধ্যার পরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি স্ব-স্ব সহায়ক কর্মসূচি পালন করছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ডিটিসিএ, বিআরটিসিসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে নিজস্ব সহায়ক কর্মসূচি পালন করছে। এ ছাড়া নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সহায়তায় কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের জন্য মহাসড়কের টোল প্লাজায় বিভিন্ন বার্তা সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে টক-শো আয়োজন করা হয়েছে।

এ সময় সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, সাবেক সচিব এমএএন ছিদ্দিক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রথমবারের মতো ‌‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন

আপডেট টাইম : ০৪:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে প্রথমবারের মতো ‌‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালন করা হচ্ছে আজ।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, সরকার ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ বছর ২২ অক্টোবর প্রথমবার দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, সাবধানে চালাব গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি। জনসাধারণকে সচেতন করতে এ দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সম্পর্কিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী দিবসটি খ-শ্রেণির মর্যাদাভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় আরো জানানো হয়, আধুনিক সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনার অন্যতম বিবেচ্য হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা। ২০১১-২০২০ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০ এর অনুসমর্থনকারী হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা অর্ধেক নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

২০০৮ সালে ৪৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় এবং এ সকল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৬৫ জন। সরকার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য যানবাহন মালিক ও চালক এবং পথচারী, যাত্রী ও জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত সভা, ওয়ার্কশপ ও জনসচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ফলে দুর্ঘটনার হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৬ সালে ২ হাজার ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪৬৩ জন মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭ সালে আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৯৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।

দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মহাসড়ক এবং যানবাহন চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন সেক্টরে গুণগত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রী এবং ৮০ শতাংশ পণ্য মহাসড়ক পথে পরিবহন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, সরকার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য যানবাহন, মালিক, শ্রমিক, চালক, পথচারী, যাত্রী ও জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত সভা, ওয়ার্কশপ ও জনসচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ক্রোড় প্রকাশিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাইওয়ে রেঞ্জ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস টার্মিনালসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের ইন্টারসেকশনে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালসমূহ এবং জেলা পর্যায়ের প্রধান প্রধান টার্মিনালসমূহে সন্ধ্যার পরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি স্ব-স্ব সহায়ক কর্মসূচি পালন করছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ডিটিসিএ, বিআরটিসিসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে নিজস্ব সহায়ক কর্মসূচি পালন করছে। এ ছাড়া নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সহায়তায় কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের জন্য মহাসড়কের টোল প্লাজায় বিভিন্ন বার্তা সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে টক-শো আয়োজন করা হয়েছে।

এ সময় সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, সাবেক সচিব এমএএন ছিদ্দিক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।