হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হতে হয় মেসি বাহিনীকে। বিশ্বমঞ্চের পর মেসির দল কোপা আমেরিকার পর পর দুটি আসরে ফাইনালে ওঠেছিল।
কোপার দুই আসরেই মেসি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। নিজে উজ্জ্বল থাকলেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় দুইবারই চিলির কাছে শিরোপা হারাতে হয় আর্জেন্টাইনদের। তাতে, মেসির বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়-জাতীয় দলের সতীর্থদের ঠিকমতো গাইড করতে পারেননি মেসি। দিয়েগো ম্যারাডোনাও বলেছিলেন, মেসি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না।
তবে, সমালোচকদের পাত্তা দিলেন না মেসির জাতীয় দল সতীর্থ ২৬ বছর বয়সী জার্মান পেজ্জেয়া। নিজের অধিনায়ক মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডার জানালেন, প্রত্যেক ম্যাচের আগে মাঠের বাইরে মেসির ইতিবাচক মানসিকতা দেখে আমি অবাক হয়েছি। তিনি সবসময় সবাইকে বুঝিয়েছেন। তিনি প্রতি ম্যাচের আগেই আমাদের বলেছেন ‘সবকিছু ঠিকঠাক চলছে’।
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মেসি। ৬১ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন। বিশ্বকাপে কনিষ্ঠতম আর্জেন্টাইন হিসেবে গোল করার রেকর্ডটিও তার দখলে (১৮ বছর ৩৫৭ দিন)। এখন অধরা ওয়ার্ল্ডকাপ জয়ের মিশন। বাছাইপর্বের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে আর্জেন্টিনাকে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে তোলেন মেসি।
পেরু কিংবা ইকুয়েডর কোনো ম্যাচেই খেলা না হলেও মেসিকে কাছ থেকে ড্রেসিং রুমে পেয়েছেন রিভার প্লেটের সাবেক তারকা পেজ্জেয়া। পেরুর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে আর্জেন্টিনা যখন বিশ্বকাপ শঙ্কায়, তখনই নাকি মেসিই দলকে উজ্জ্বীবীত করেছেন, দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছেন। পেজ্জেয়া যোগ করেন, ‘মেসিই প্রথম এগিয়ে এসেছিল দলকে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কাজে। সেই প্রথম বলেছিল, একটা সুযোগই হাতে আছে আমাদের, আর সেটাতে আমাদের সবটা উজাড় করে দিতে হবে। ওই অনুপ্রেরণা আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যেখানে সে নিজেই অবদান রেখেছে বিশেষভাবে। তাকে যে প্রথম দেখবে সেই তার প্রতি সম্মান দেখাবে। জাতীয় দলে তার সতীর্থ হওয়া অনেক বড় কিছু।’
গতবার (২০১৪) ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি গিয়েও না