ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান চারে চার করে ফেলল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেই একই চিত্র। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পাকিস্তান, বোলিং কিছুটা ভালো হলেও ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ শ্রীলঙ্কা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেও শেষ হলো এই চিত্র মেনেই। যথারীতি পাকিস্তান জিতল আরেকটি ম্যাচ। এবার শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।

টেস্ট সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান জিতল প্রথম চার ম্যাচের চারটিই। শ্রীলঙ্কা হারাল টানা ১১ ওয়ানডে। শেষ ম্যাচেও হারলে লঙ্কানরা হোয়াইটওয়াশ তো হবেই, পূর্ণ হবে পরাজয়ের ডজনও!

শারজাহতে শুক্রবার হাসান আলী ও স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৩ রানে। বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান সেটি পেরিয়ে গেছে ১১ ওভার বাকি থাকতেই!

এদিন টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেনি ‘সফরকারীরা’। এই সিরিজে শ্রীলঙ্কার একমাত্র সফল ব্যাটসম্যান থারাঙ্গাকে দিয়েই অবশ্য এদিন শুরুটা হয়েছে। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার উসমান খান তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়েছেন। তার ১৩৭ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হওয়া থারাঙ্গা মেরেছেন ডাক।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। একটা পর্যায়ে ৯৯ রানেই পড়ে যায় ৭ উইকেট! তারপরও যে শ্রীলঙ্কার ১৭৩ রান হয়েছে, সেটা লাহিরু থিরিমান্নের কল্যাণে। ৯৪ বলে ৪টি চারে থিরিমান্নে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান। দশ নম্বরে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরঙ্গা লাকমাল।

পুরো সিরিজে দারুণ বোলিং করা পেসার হাসান আলী এদিনও পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার। ৮.৪ ওভারে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন স্পিনাররা। ইমাদ ওয়াসিম ৭ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৮ ওভারে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন শাদাব খানও।

লক্ষ্য তাড়ায় ৫৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে একটা ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইমাম-উল-হক এবার মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখলেন, করেছেন ২ রান। ফখর জামান ১৭ ও মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়েছেন ৯ রানে।

এরপর অবশ্য পাকিস্তানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাবর ও মালিক। কাকতালীয়ভাবে দুজনই অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে! ১০১ বলে ৫ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাবর। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা মালিকের ৮১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৪৩.৪ ওভারে ১৭৩ (থিরিমান্নে ৬২, লাকমাল ২৩*, ডিকভেলা ২২’ হাসান ৩/৩৭, ইমাদ ২/১৩, শাদাব ২/২৯)

পাকিস্তান: ৩৯ ওভারে ১৭৭/৩ (মালিক ৬৯*, বাবর ৬৯*; ফখর ১৭; গামাগে ১/২৭, ধনঞ্জয়া ১/২৯, প্রসন্ন ১/৪৪)

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বাবর আজম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তান চারে চার করে ফেলল

আপডেট টাইম : ০১:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেই একই চিত্র। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পাকিস্তান, বোলিং কিছুটা ভালো হলেও ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ শ্রীলঙ্কা। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেও শেষ হলো এই চিত্র মেনেই। যথারীতি পাকিস্তান জিতল আরেকটি ম্যাচ। এবার শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।

টেস্ট সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান জিতল প্রথম চার ম্যাচের চারটিই। শ্রীলঙ্কা হারাল টানা ১১ ওয়ানডে। শেষ ম্যাচেও হারলে লঙ্কানরা হোয়াইটওয়াশ তো হবেই, পূর্ণ হবে পরাজয়ের ডজনও!

শারজাহতে শুক্রবার হাসান আলী ও স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৩ রানে। বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান সেটি পেরিয়ে গেছে ১১ ওভার বাকি থাকতেই!

এদিন টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেনি ‘সফরকারীরা’। এই সিরিজে শ্রীলঙ্কার একমাত্র সফল ব্যাটসম্যান থারাঙ্গাকে দিয়েই অবশ্য এদিন শুরুটা হয়েছে। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার উসমান খান তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়েছেন। তার ১৩৭ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড হওয়া থারাঙ্গা মেরেছেন ডাক।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। একটা পর্যায়ে ৯৯ রানেই পড়ে যায় ৭ উইকেট! তারপরও যে শ্রীলঙ্কার ১৭৩ রান হয়েছে, সেটা লাহিরু থিরিমান্নের কল্যাণে। ৯৪ বলে ৪টি চারে থিরিমান্নে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান। দশ নম্বরে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরঙ্গা লাকমাল।

পুরো সিরিজে দারুণ বোলিং করা পেসার হাসান আলী এদিনও পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার। ৮.৪ ওভারে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন স্পিনাররা। ইমাদ ওয়াসিম ৭ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৮ ওভারে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন শাদাব খানও।

লক্ষ্য তাড়ায় ৫৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে একটা ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইমাম-উল-হক এবার মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখলেন, করেছেন ২ রান। ফখর জামান ১৭ ও মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়েছেন ৯ রানে।

এরপর অবশ্য পাকিস্তানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বাবর ও মালিক। কাকতালীয়ভাবে দুজনই অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে! ১০১ বলে ৫ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাবর। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা মালিকের ৮১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৪৩.৪ ওভারে ১৭৩ (থিরিমান্নে ৬২, লাকমাল ২৩*, ডিকভেলা ২২’ হাসান ৩/৩৭, ইমাদ ২/১৩, শাদাব ২/২৯)

পাকিস্তান: ৩৯ ওভারে ১৭৭/৩ (মালিক ৬৯*, বাবর ৬৯*; ফখর ১৭; গামাগে ১/২৭, ধনঞ্জয়া ১/২৯, প্রসন্ন ১/৪৪)

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বাবর আজম।