হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভালো খেলা, ভালো খেলা’ স্লোগানটা স্লোগানই থেকেছে প্রথম তিন ম্যাচে পাকিস্তান, ভারত ও চীনের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ঘরের মাঠের এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও ভালো খেলা উপহার দিতে পারেনি। এখন বাজছে ষষ্ঠ হওয়ার গান- এশিয়া কাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই যে গানটি গেয়ে আসছেন বাংলাদেশের কোচ-খেলোয়াড়রা।
ষষ্ঠ হতে পারলে এক ঠিলে দুই পাখি মারা হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। আগের এশিয়া কাপের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হবে এবং খেলতে হবে না পরের এশিয়া কাপের বাছাই পর্ব। ষষ্ট হওয়ার জন্য চাই স্থান নির্ধারণী পর্বের প্রথম ম্যাচ জয়। বৃহস্পতিবার চীনের বিপক্ষে সেই আসল পরীক্ষা স্বাগতকিদের। রাত ৮ টায় মওলানা ভাসানি স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ ও চীনের ম্যাচটি। জিতলে ষষ্ঠস্থান নিশ্চিত তো হবে, সুযোগ থাকবে পঞ্চম হওয়ারও। তবে আপাতত চীনের ম্যাচটিতেই চোখ বাংলাদেশের। জিতে অন্তত ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত করতে চায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
প্রতিপক্ষ হিসেবে চীন শক্তিশালী। র্যাংকিংয়েও এগিয়ে তারা ১৬ ধাপ। চীনের র্যাংকিং ১৮, বাংলাদেশের ৩৪। দুই দলের আগের সাক্ষাতগুলোতে সাফল্যের পাল্লা ঝুলে আছে চীনের দিকেই। যদিও শেষ সাক্ষাতে বাংলাদেশ হারিয়েছিল চীনকে। তাও এশিয়া কাপের চেয়ে বড় আসরে, ওয়ার্ল্ড লিগের রাউন্ড-২ এ।
২০১৩ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ গোলে। চার বছর পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন।
এতদিন ধরে যে লক্ষ্যের কথা বলে এসেছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ মাহবুব হারুন, স্থান নির্ধারণী পর্বের প্রথম ম্যাচ সে কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন আরেকবার, ‘শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ভালো করা। সব সময় বলেছি, আমাদের আসল পরীক্ষা হবে সেখানে। সে লক্ষ্যের প্রধান ধাপ বৃহস্পতিবার। আমি আশাবাদী ছেলেরা নির্দেশনা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারলে চীনের বিপক্ষে জেতা সম্ভব। জিতলে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ষষ্ঠ স্থানও নিশ্চিত হবে।’
চীনের খেলাগুলো নিশ্চয়ই দেখেছেন? ‘হ্যাঁ। গত তিন দিন চীনকে নিয়ে কাজ করেছি। তাদের ম্যাচের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করেছি। ওরা ফুল প্রেসে খেলে। এই ফুল প্রেস কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা ছেলেদের শেখানো হয়েছে। চীনের আক্রমণ করার পদ্ধতি নিয়েও বিশেষ কাজ হয়েছে’- জবাব বাংলাদেশের প্রধান কোচ মাহবুব হারুনের।
চীনের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও স্বাভাবিকভাবে উঠেছে আগের তিন ম্যাচের কথা। দৃষ্টিনন্দন হকি খেলতে না পারার কারণ হিসেবে মাহবুব হারুন ভুল আর মনসংযোগের ব্যাঘাতের কথাই বলেছেন লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রধান কোচ ‘গত তিন ম্যাচে মাঠে ওরা করেছে অনেক। মনসংযোগের ঘাটতিও ছিল। আগের তিন ম্যাচ ভুলে গিয়ে এখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। ছেলেদের সে নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, চীনকে হারাতে পারলে আগের ব্যর্থতাগুলো সবাই ভুলে যাবে। জিতবো বলে আমি আশাবাদী।’
চার বছর আগে দিল্লিতে চীনের বিপক্ষে করা তিন গোলদাতা মামুনুর রহমান চয়ন, মাইনুল ইসলাম কৌশিক ও পুস্কর ক্ষিসা মিমো আছেন এই দলেও। আছেন সফল কোচ মাহবুব হারুনও। তারা নিশ্চয় চার বছর আগের দিল্লিকে ফিরিয়ে আনতে চাইবেন ঢাকাতেও।