হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কয়েকমাস ধরে গুটি কয়েক কিশোরের উপোদ্রবে অতিষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট উত্তর টোনাওয়ান্দা শহর। মারধর থেকে ভাঙচুর সবই করে চলেছে তারা।
কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছিল না প্রশাসন। ফল ক্রমাগত অপরাধমূলক কাজ বেড়ে চলা।
অবশেষে বের করা হল উপায়। চলতি মাসেই শহরের একটা বড় অংশের বাসিন্দা ঠিক করেন, কোনও কিশোর বা কিশোর অপরাধমূলক কাজ করলে, তার শাস্তি ভোগ করতে হবে বাবা-মাকে। হতে পারে ১৫ দিনের জেল ও সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা।
সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর, আইন পাশ করে তা গৃহীত হয়। যদিও শুরুতে এই আইন সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে উত্তর টোনাওয়ান্দা শহরের বাসিন্দাদের জন্যই। ইতিমধ্যেই সেই শহরের বাসিন্দা ক্রাগো দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে এক দম্পতিকে জেলবন্দি হতে হয়েছে। ২৫০ ডলার জরিমানাও ভুগতে হয়েছে।
উল্লেখ্য কয়েক মাস আগের ঘটনা। ১৫ বছরের এক কিশোরের আক্রমণে চোখের নিচে কালী পড়ে গিয়েছিল ক্রাগো দম্পতির ছেলের। তারও বয়স ১৩ বছর। ঘটনার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্রাগো দম্পতি পুলিশেরর দ্বারস্থ হন। কিন্তু পুলিস তখন তাদের সাফ জানিয়ে দেয় তারা এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এমন আইনের ধারা নেই যাতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। হাজার প্রতিবাদ জানিয়েও লাভের লাভ হয়নি তাদের।