হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের পরিসংখ্যান দেখলে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে সবার উপরে নামটা আসবে মুশফিকেরই। কেননা তার অধীনেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কাদের মতো বড় দলের বিপক্ষে।
অধিনায়ক হিসেবে এতো সাফল্যর পরেও কম সমলোচনা সইতে হয়নি তার। প্রত্যেক টেস্ট সিরিজের মাঝামাঝি সময়ে তাকে নিয়ে সমলোচনায় মেতে উঠেন সমর্থকরা। সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট পরাজয়ে কম সমলোচনা হয়নি তাঁর।
টস বিতর্ক থেকে শুরু করে পুরো টেস্ট সিরিজ জুড়েই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ পরাজয়ের পর গুঞ্জন উঠেছিলো অধিনায়ক হিসেবে এটিই তাঁর শেষ সিরিজ।
তবে নিজ থেকে অধিনায়কের পদ থেকে সরছেন না সেটি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিক। এসব সিদ্ধান্তের ভার তুলে দিয়েছেন বিসিবির উপর। তবে দলের ভালোর জন্য অধিনায়েক পদ থেকে সরতে আপত্তি নেই তার।
এক সিরিজ পরাজয়ে এমন সমলোচনা উঠাটা দৃষ্টিকটুভাবে দেখছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। অসুস্থতা সেরে ৭ দিনের জন্য দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী অধিনায়ক পরিবর্তনের ব্যাপারে চিন্তাই করেনি বিসিবি।
“কার থেকে কথাটা আসলো, যে মুশফিক অধিনায়ক হিসেবে থাকবেনা কিংবা তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে! এটা তো মিডিয়াতে এক ধরনের হাইপ তৈরি হয়েছে। মুশফিক বলেছে সে অধিনায়কত্ব ছাড়বে না নিজ থেকে।”
“আমার কথা হলো কেউ ওকে কিছু বলেছে নাকি বা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কিছু বলা হয়েছে নাকি মুশফিককে, যে তোমার অধিনায়কত্ব থাকবেনা; এটাও আমার জানা প্রয়োজন। আমরা তো চাই না এই ধরনের কথাবার্তা মিডিয়াতে বা বাইরে আমাদের অধিনায়ক বলুক।”
দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করেছেন মুশফিক। অধিনায়ক হিসেবে কেন সেখানে ফিল্ডিং করছেন সেই প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন; মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করেছেন তিনি।
কোচরা জানিয়েছেন সামনে থাকলে মুশফিকের হাত থেকে রান ছুটে যায় কিংবা ক্যাচ মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার কারণে তাকে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে বলা হয়েছিল। তবে মিডিয়ার সামনে এসব কথা বলাতে টনক নড়েছে বিসিবির।
টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলায় মুশফিকের সমলোচনা করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ব্যাপারটি দৃষ্টিকটু লেগেছে সুজনেরও। তার মতে এসব কথাবার্তা দলের ভিতরেই থাকা উচিত।
“টসের ঘটনাগুলো কিংবা কোথায় ফিল্ডিং করতে বলা হয়েছে। আসলে এইগুলা তো একটা পরিবারের ব্যাপার। এই ধরনের কথা দলের ভিতরেই থাকা উচিত বলে মনে করি।”
তিনি আরো যোগ করেন, “তাছাড়া মুশফিককে অধিনায়ক থেকে সরানোর কথা আমরা চিন্তাই করিনি বা এই নিয়ে উপরে যারা রয়েছেন তারাও কোন আলোচনা করেনি। আমার মতে এইগুলা নিয়ে অতবেশি আলোচনা করাও ঠিক না।